• আইন ও আদালত

    নওগাঁর বদলগাছীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা চাচা কর্তৃক ভাতিজা কে হত‍্যা টাকায় থুমকিয়ে

      প্রতিনিধি ৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ১২:৫৭:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    এনামুল কবীর এনাম-জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ

    নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর-সন্ন্যাসতলায় নিজের বীর মুক্তিযোদ্ধা চাচার হাতে ভাতিজা হত্যার ঘটনা ঘটেছে এলাকায় তোলপাড় । জানা গেছে বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সন্যাসতলা দূর্গাপুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে জবাইদুল ইসলাম (৫১) গত

    ৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার সকাল দশটায় জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গলা টিপে হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে জানা যায়।
    স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা য়ায় রাস্তায় মাটি দেওয়া কে কেন্দ্র করে মৃত জবাইদুলের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এবং তার ছেলে বেলাল হোসেন দু -জন মিলে জবাইদুল ইসলাম কে মারতে গেলে লাঠির বারি উঠালে জবাইদুল ইসলাম উক্ত লাঠির বাড়ি টি বাঁধা দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক তাকে গলা টিপে ধরলে সে এক মুহুর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মুখ দিয়ে জিহ্বা বাহির করে সঙ্গে সঙ্গে গলা ছেড়ে দেন। অবস্থার বেগতি হলে চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিলে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।এরপর অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পর দুপুর ৩.০০ টায় তার মৃত্যু ঘটে।
    মৃত জবাইদুলের ছেলের স্ত্রী কমেলা ও এলাকাবাসী জানায়,আমার শ্বশুর সকাল ১০টার দিকে একটি কোদাল হাতে নিয়ে মেইন রাস্তা থেকে ধান ভাঙ্গা মিলের পাশ দিয়ে আমাদের বাড়ি আসার ভাঙ্গা রাস্তা ঠিক করার জন্য মাটি দিতে যায়। এসময় আমার চাচা শশুর আব্দুল খালেক সেখানে গিয়ে রাগান্বিত হয়ে বলে আমার জমি থেকে মাটি কাটলি কেন? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার শশুর জবাইদুলকে গলাটিপে ধরে।কিছুক্ষণপর আবার চাচা শ্বশুরের ছেলে বেলাল হোসেন (সন্ন্যাসতলা স্কুলের শিক্ষক) লাঠি নিয়ে যায় এবং মারপিট করতে থাকে । কিছুক্ষণপর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকলে আমার শাশুড়ী সহ কয়েকজন তাকে পাহাড়পুর বাজারে ডাক্তারের কাছে ও পরে জয়পুরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে। খবর আসে আমার শ্বশুর মারা গেছেন।
    বিষয়টি জানতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের বাসায় গেলে তার পুত্রবধু ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। পুত্রবধু পারুল বলেন,আমার শ্বশুরের গন্ডগোলের খবর পেয়ে আমি ও আমার স্বামী ছোট্ট একটি লাঠি হাতে নিয়ে বাহিরে যায়।এরপর আমি আর কিছু জানিনা। এবং তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছুক বলে অনুরোধ জানায়।
    উল্লেখ্য যে ঘাতক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বর্তমান বাংলাদেশের রেলওয়ে বিভাগের এক জন উর্ধতন কর্মকর্তা) মোঃ রেজাউল ইসলামের বাবা বলে স্থানীয় গ্ৰাম বাসী সুএে জানা যায়।
    নিহত জবাইদুল ইসলামের ছোট ভাই মো: ওবাঈদুল ইসলাম বলেন আমাদের কে আব্দুল খালেক জমি সংক্রান্ত জের ধরে রাস্তা দিয়ে জাইতে না দেওয়ার জন্য প্রাচীর বানানোর জন্য গর্ত করে প্রাচীর তৌরির করছে চলাচলের রাস্তায় আমাদের কে দীর্ঘ দিন ধরে দন্দ করে চলেছে ।বলে জানান। কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন চলাচল সং ক্রান্ত ছাড়া চাচার সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। আমরা এতিম অসহায় আমি আমার ভাই কে মারার সঠিক বিচার চাই। তিনি বলেন তারা টাকা দিয়ে মামলা টি থুমকে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত।
    বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আতিকুল ইসলাম সাংবাদিক দের জানান,আমাদের কাছে খবর এসেছে যে চাচার হাতে ভাতিজাকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখনও কোন মামলা হয়নি-তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।হত্যা প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ