• রাজনীতি

    তারেক রহমান ফিরলে মানুষের ঢল নামবে: মির্জা ফখরুল

      প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২১ , ৪:১০:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    দেশের গণতন্ত্র নির্মূল করতে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করেন। দেখবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে মানুষের ঢল নামবে। সামাল দিতে পারবেন না। তারেক জিয়া যেদিন দেশে ফিরবেন, পুরো ঢাকা শহরে জায়গা থাকবে না। তা ঠেকানো যাবে না বলে দাবি করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়া মহল্লায় পৈতৃক বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন তিনি।

    মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সাজা দিয়ে যাচ্ছে। এ মামলাগুলোয় সাজা দেওয়ার কারণে তারেক রহমানের দেশে ফেরার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসচিব বলেন, দেশে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কাজ করছে, যা সরকারি দলের মদদে কাজ চলছে। এতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারলে তাদের জায়গা-জমি দখল করে তারা, আর দেশে থাকলে ভোট পাবে তারা। রংপুরের পীরগঞ্জে ছাত্রলীগের নেতা মন্দির হামলা করে। কুমিল্লায় বাহার সাহেবের সঙ্গে সেখানকার নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে বলে মন্দিরের পুরোহিত গোবিন্দ প্রামাণিক ও রানা দাশ গুপ্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছেন। ভারতেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

    জড়িতদের আড়াল করতে গিয়ে সরকার উলটো বিরোধীদলীয় লোকজনের ওপর দোষ চাপাতে চৌমুহুনির ঘটনায় বরকতউল্লাহ বুলুসহ ১৬শ নিরীহ মানুষকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। বরকতউল্লাহ বুলু একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ। তিনি জনগণের সঙ্গে থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে এ ধরনের মানুষকে জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে মানুষকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে।

    বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পুলিশকে তুলে নেওয়া হোক, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, সহসভাপতি পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ