• রাজশাহী বিভাগ

    তানোর উন্নয়নের রূপকার

      প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:৫৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    সাংসদীয় এলাকার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যস্ত সময় পার করেছেন সাবেক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী, তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রাণ প্রিয় নেতা, জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনকারী বলিষ্ঠ নেতৃত্ত্ব, আপামর জনগোষ্ঠীর শিরমণি, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনসাধারণের দৃঢ় আত্ম-বিশ্বাসী, জনগণের আস্থা ভাজন, শহিদ পরিবারের কৃতি সন্তান, মুজিব চেতনায় দৃঢ় আত্মপ্রত্যায়ী, দেশের জাতীয় চার নেতা (শহিদ কামরুজ্জামান হেনা)’র আপন ভাগিনা, রাজশাহী-০১ আসনের সাংসদ, আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী৷
    তিনি অন্যান্যদের মত শুধু কথায় নয়; তিনি তার কাজেও প্রমাণ করে দিচ্ছেন; বিশ্বের চলমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজ জ্বীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে চলেছেন অবিরাম।
    তিনি একজন স্বচ্ছ ও একনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং মুজিব আদর্শিত প্রকৃত আওয়ামী লীগার।।
    তিনি তার সাংসদীয় এলাকায় যে সকল রাস্তা-ঘাটসহ অন্যান্য যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন; তা তিনি ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততার মধ্যদিয়ে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
    তার ধারাবাহিকতায় তানোর উপজেলায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

    বিগত সরকারের সময়কালে এমন একটা সময় ছিল; তানোর-গোদাগাড়ীতে মাটি, বেড়া, চাটাই ও টিন দিয়ে তৈরী করা কলেজ, হাইস্কুল, প্রাইমারী স্কুল, মাদ্রাসা ও মক্তবগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী এবং কোমলমতি শিশুরা মানবেতর ভাবে পড়া-লিখা করতো:
    সেই সমস্ত যায়গাগুলিতে এমপি সাহেবের প্রতিনিধীত্বে তা খুঁজে বের করে সংস্কার ও পূনঃস্থাপন কারনে আজ সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি উচু-উচু ভবনে পরিনত হয়েছে।
    শুধু তাই নয়; সরকার প্রদত্ত সকল প্রকার ভাতাঃ- (বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, বেদে, হিজড়া, মাতৃত্বকালীনভাতা) চিকিৎসা সহায়তা, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশী প্রতিবন্ধী, আদিবাসী, হরিজন, দলীত, সকল প্রকার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপবৃত্তি প্রদানসহ প্রভূতী ভাতা ১০০% প্রায় নিশ্চিত করণ, প্রতিবন্ধীদেরকে সহায়ক উপকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকিসহ উপকরণ প্রদান, অসহায় দরিদ্রদের চিকিৎসা ব্যয়বহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
    সরকারী ও ব্যক্তিগত ভাবে অসহায় ছিন্নমূল, গৃহহীন ও ভূমিহীনদেরকে দিচ্ছেন নতুন বাড়ী।
    চিকিৎসার মানান্নয়নে নতুন হাসপাতাল, পুরাতন হাসপাতাল সংস্কার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও সংস্কার করছেন।
    সাংসদীয় এলাকায় বাণিজ্যিক করার লক্ষ্যে হিমাগার কলষ্টোর স্থাপনে উদ্দোক্তাদেরকে উৎসাহিত করে দারিদ্র বিমোচনেও অনেক অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছেন।

    তিনি নিজের কোটি টাকার সম্পদের উপর তানোরের গড়ে তুলেছেন সরকারী টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউট ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
    তার সাংসদীয় এলাকায় সকল হাইস্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পাশাপাশী সকল প্রাইমারী স্কুলগুলিতে শহীদ মিনার তৈরী, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করে দিচ্ছেন; যাতে করে আগামীতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে এবং প্রকৃত দেশ প্রেমিক হয়ে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে পারেন স্বচ্ছ পরিবেশ।

    তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টায় দুই উপজেলায় গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স সমূহ, অসংখ্য মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও পাঠাগার নির্মান, সংস্কার ও স্থাপন করে দিয়েছেন।
    সব মিলিয়ে তিনি উত্তর বঙ্গের এমপি হিসাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে চলেছেন৷।

    তিনি আদর্শিক নীতি-নৈতিকতায় রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি।
    সব মিলিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক সহাবস্থান, সুস্থধারা, আদর্শিক, নীতি-নৈতিকতা ও সৎ, নিষ্ঠাবান রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি সাংসদ।
    তাঁর অবৈধ কোন অর্থলিপসা না থাকায় দেশের গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে তিনি কখানই গা-ভাসিয়ে দেননি।

    জানা গেছে; তানোর ও গোদাগাড়ীর রাজনীতির ইতিহাসে সরকার দলীয় কিছু অসাধু স্বার্থান্বেষী নেতা-কর্মী সমর্থকরা সাময়ীক সিংহভাগ সময় এলাকায় অশান্ত করে তুলেছিল।
    অথচ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের একটানা তৃতীয় মেয়াদও এখানে ভিন্ন চিত্র বিরাজমান ও দৃশ্যমান রয়েছে।

    সূত্র বলছে; এমপি ফারুক চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায়, অক্লান্ত পরিশ্রমে ও সুদক্ষ বুদ্ধিমত্তায় রাজনৈতিক সহাবস্থান ও
    সুস্থধারার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় রাজনীতিতে ভিনদলীয় দ্বারা সহিংসতার কোন স্থান নাই।
    রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে।
    রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াত-বিএনপির ইতিহাস এখন কেবলই দুঃসহ স্মৃতি।
    এখন বিরোধীদল বিনা বাধায় তাদের শান্তিপূর্ণ যেকোন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে পারছেন। অথচ বিএনপি-জামায়াত/শিবিরের শাসনামলে তৎকালীন বিরোধীদল হিসেবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের মূখে বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছেন। মিথ্যা মামলায় বহু নেতা-কর্মী ও সমর্থকগণ মাসের পর মাস কারাবরণ করেছেন। তাদের অনেকেরই নিকট আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশগ্রহণ করতেও পারেননি। আন্দোলন কর্মসূচী তো দুরের কথা; জাতীর জনক এবং স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠান করতেও দেয়া হয়নি। জামায়াত/শিবির-বিএনপি এক সময় সহিংস রাজনীতির পথে হেঁটে এখানকার শান্তিময় পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছিলোন।

    কিন্তু এমপি ফারুক চৌধুরীর স্বচ্ছ-রাজনৈতিক দূরদর্শীতা এবং একান্ত প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক সহবস্থান তৈরীর ও সুস্থধারা সৃষ্টি করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
    সুস্থধারা ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বত্বি বিরাজ করছে।।
    এমপি ফারুক চৌধূরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কাছে দিনবদলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন; সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতেই তিনি রাজনীতিতে সুস্থধারা, সহাবস্থান ও দিনবদলের রাজনীতি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এতে করে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে পরম স্বস্তি ও শান্তি বিরাজ করছে।

    তবে রাজনৈতিক দুর্বুত্তায়ন ও লেজুড় বৃত্তি করতে না পেরে নিজ দলের একশ্রেণীর কিছু অসাধু, স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতালেভী জনবিচ্ছিন্ন নেতা-কর্মী তার কাছে অসৎ ও অসাধু কাজে প্রশ্রয় না পেয়ে, তার প্রতি ক্ষুব্ধ রয়েছেন।
    এলাকায় বিভ্রান্ত মূলক অনেক অপপ্রচারের লিপ্ত রয়েছেন।
    তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি-ঘুষ, চাঁদাবাজী ইত্যাদি করতে না পারায় তুষ্ট হতে পারছেন না।
    এরা নিজেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন কৌশলে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধীতায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তাদের আওয়ামী লীগ প্রতিনীধিত্বে বিরোধীতা করায় নিজেদের অবস্থান ক্ষীণ এবং স্বয়ং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চালেঞ্জ করে আওয়ামী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন।

    বিগত দিনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু দলীয় লেবাসধারী, দলীয় পরিচয়ে, ক্ষমতাসীন দলে গুপ্তচর হিসেবে ভিড়েছেন।
    আর তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন কিছু স্বার্থান্বেষী সেই অসাধু নেতা-কর্মীরা। তারা সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন টিআর, জিআর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপি, টেন্ডারবাজী, গভীর নলকুপ ইত্যাদি অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।

    তবে আওয়ামী লীগ সরকারের এই সময়ে এমপি ফারুক চৌধুরীর কঠোর অবস্থান ও স্বচ্ছ নীতি-নৈতিকতায় প্রকৃত মুজিব সৈনিক ও স্বাধীনতা চেতনায় বিশ্বাসীদের দ্বারা এসব আর হচ্ছে না।
    দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ সাংসদের এমন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করছেন এবং এসব মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
    নির্বাচনী এলাকায় সাংসদ আলহাজ্ব ফারুক চৌধূরীর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি গণমানুষের নেতা হিসেবে প্রষ্ফুটিত হচ্ছেন! এবং ফারুক চৌধূরীকে নিয়ে তৃণমূলের জনগণ গর্ববোধ করছেন।

    এদিকে আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজন বা প্রতিযোগীতা নেই তা কিন্তু নয়; তবে তাতে আহামরি কোন সহিংস রুপ নেই।
    কারণ: তারা অতি দুর্বল ও স্বার্থান্বেষী!!
    তারা দলের মধ্যে বিভেদসহ সাংসদের পারিবারিক অস্থানে ভাঙ্গন ধরানোর জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার ও অপকৌশল চালাচ্ছেন।

    #অন্যদিকে বিরোধীদল ও প্রতিপক্ষদের ওপর সরকারী দলের অত্যাচার-অনাচার ও নির্যাতন-নিপীড়নের ষ্টিমরোলার চালানোর নেই কোন করুণ দৃশ্যপট।
    আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিরোধীদলের কোনো নেতা-কর্মী রাজনৈতিক বিবেচনা বা মিথ্যা মামলা কিংবা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন না।
    বিএনপি-জামাত/শিবিরের নির্মমতা এখন কেবলই দুঃসহ স্মৃতি।
    এরকম একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে না পেরে বিএনপি ক্ষমতায় না থেকেও দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দ্বল ও অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের মধ্যে সংঘটিত একের পর এক সহিংস ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এছাড়াও এমপি ফারুকের অর্থলিপসা না থাকায় প্রায় ০৫ কোটি টাকা মূল্যর তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি তিনি সরকারী কলেজ নির্মাণের জন্য দান করেছেন এবং এখানো এমপির সম্মানী ভাতার টাকা এলাকায় অসহায়-হতদরিদ্র ও নেতা-কর্মীদের মাঝে বিতরণ করে আসছেন। আবার চাকুরী মেলা করে এলাকার হাজার হাজার বেকার জনগোষ্ঠির আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।

    অথচ একশ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন সরকারী লেবাসধারী সেই স্বর্থান্বেষী নেতা-কর্মীগণ অনিয়ম-দূর্নীতি করে রাতারাতী অগাধ ধন-সম্পত্তি অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
    কিন্তু সাংসদ ফারুক চৌধূরীর অর্থলিপসা না থাকায় তারা এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। যার ফলে এসব বিপথগামী নেতা-কর্মী সাংসদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হতে নাপারলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল, শুশিল সমাজ, সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষ সাংসদের এমন অবস্থানের ভুয়সী প্রশংসা করে চলেছেন।

    ✓✓#এবিষয়ে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ-
    আমি স্পষ্টবাদী মানুষ, সকলের সামনে থেকে সম্মুখে কথা বলতে পছন্দ করি, কোন অন্যায় ও অনৈতিক আবদার কারীদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিইনা, মাদকের সুপারিশ কখনও করিনা। সদা-সর্বদা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে বুকে ধারণ করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সকল দিক নির্দেশনা মেনে চলে দেশের চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা য় উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি।
    আমার অন্তরালে কে কি বলছে,
    কে কি করছে,
    আমি তার পরয়া করিনা।।

    #ময়নাঃ –

    রাজশাহী জেলাধীন, তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ‘লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না’ একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জনপ্রতিনিধীত্বকারী ব্যক্তিত্ব।
    তার রাজনীতির প্রত্যাক্ষ বহিঃপ্রকাশ হয় ২০০৩ সালে যুবলীগ দিয়ে৷
    তিনি একটানা ১২ বছর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়ীত্ব পালন করেন।
    দ্বায়ীত্ব পালন কালে তিনি ২০১১ সালে তানোর উপজেলার ০১ নং কলমা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়ে জনগণের বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

    ২০১৫ সাল ২৩ এপ্রিলে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ভালবাসার প্রতিফলনে তিনি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দ্বায়ীত্ব পান।
    উক্ত কলমা ইউপি জনগণের ভালবাসায় ২০১৬ সালে ২৩ এপ্রিলে আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত নৌকার প্রতীক পেয়ে জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হন।
    তিনি কলমা ইউপি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠণের নেতা-কর্মীদের ভালবাসার ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সাল ১০ মার্চ তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত নৌকা প্রতীক পেয়ে জনগণের ভোটে তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

    এখন ময়না চেয়ারম্যানকে ঘিরেই চলছে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল রাজনীতি; তিনিই নেতা-কর্মীদের একমাত্র আশা-ভরসা।
    বর্তমানে তিনি ন্যায় ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দ্বায়ীত্ব পালন করছেন।
    বর্তমান (বিতর্কিত, স্বার্থান্বেষী, নিঃসক্রীয়, দ্বায়ীত্বহীন, স্বার্থপর) তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাবেক মুণ্ডুমালা পৌর-মেয়র, এবং সাধারণ সম্পাদক সাবেক কামার গাঁ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উল্ল্যেখ যোগ্য তেমন কোন ভূমিকা নাথাকায় এবং তাদের দ্বী-মূখী অপ-রাজনৈতিক অপতৎপরতার কারনে তানোরের আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব শুন্যতায় ময়না চেয়ারম্যানের দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতায় বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গন পুনঃর্জীবিত করতে তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
    বর্তমান পেক্ষাপট বিবেচনায়; একমাত্র ময়না চেয়ারম্যানের জন্যই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি টিকে আছে।

    তানোর উপজেলার ০৭টি ইউনিয়ন ও ০২টি পৌরসভার ৮১ টি ওয়ার্ডে রাজনৈতিক ভাবে ময়না চেয়ারম্যান বহুগুনে এগিয়ে আছেন।
    তার কারণ হিসেবে বলা যায়, তিনি তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠণ সমূহ চাঙ্গা রাখতে তার অগ্রনী ভূমিকা অতুলনীয় ও অপরিসিম!!
    তাই তানোর উপজেলা আগামীতে “উপজেলা আওয়ামী লীগ” সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় আপামর জনগোষ্ঠী।
    আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠণের নেতা-কর্মীদের অভিমত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে ময়নায় “পারফেক্টম্যান”।
    তাই আগামী কাউন্সিলর অধিবেশনে তাকে উপজেলার সভাপতি হিসেবে দেখতে চায়৷৷

    ✓✓#এবিষয়ে ময়না চেয়ারম্যানের কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন; একজন স্বচ্ছরাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনীধি হিসেবে আমি জীবনে কি পেলাম? বা কি পেলামনা!
    সেটা বড় কথা নয়, জণসাধারণের জন্য কতটুকু উন্নয়নে কাজ করতে পারলাম, জনগণকে কতখানী সেবা দিতে পারছি, সমাজের জন্য কি অবদান রাখছি, আগামীতে কি করবো, সেটাই সব চেয়ে বড় কথা।
    সেই চিন্তা-চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই আমি রাজনীতি ও প্রতিনীধিত্ব করি৷ আর সেই আদর্শীকতা নিয়ে রাজনীতি করলে, সেই রাজনীতির কখনও মৃত্যু হয়না, ধ্বংস হয়না৷ আমি তৃণমূল জনগণ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে এতদুর এগিয়ে চলেছি, জনগণই আমার সকল শক্তির উৎস৷
    জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দু আগামীতে আমাকে যে দ্বায়ীত্ব দিবে, আমি তা ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততার মধ্য দিয়ে পালন করে যাবো ‘ইনশাআল্লাহ্’৷

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ