• জনপদ

    তানোরে ওসির হস্তক্ষেপে রাস্তা রক্ষা জনমনে স্বত্তি

      প্রতিনিধি ৫ এপ্রিল ২০২৩ , ২:২৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তনোর থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিঞার হস্তক্ষেপে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তানোর-বায়া আঞ্চলিক সড়ক রক্ষা হয়েছে।জানা গেছে, ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) গাগরন্দ এবং রাতৈল মাঠে অভিযান চালিয়ে স্কেভটর (ভেুকু) মেশিনের চাবি জব্দ ও পাকা রাস্তা নষ্ট করে অবৈধ মাটি বাণিজ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন। রাস্তা রক্ষার খবরে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে পরম স্বত্তি বিরাজ করছে। সচেতন মহলও ওসির এমন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

    এই রাস্তা রক্ষায় এলাকার সাধারণ মানুষসহ সুশিল সমাজের প্রশংসায় ভাসছেন ওসি কামরুজ্জামান মিঞা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে রাস্তা রক্ষায় তারা কোনো ভূমিকা রাখেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, গাগরন্দ মাটিদুস্যু মেসের আলী ও রাতৈল মাঠে মাটিদস্যু দারেস আলী সরকারি পাকা রাস্তা নষ্ট করে অবৈধ মাটি বাণিজ্যে করছে। আবার এসব মাটি দিয়ে হাড়দহ মাঠে প্রায় ৭০ বিঘা আয়তনের ছোট-বড় পুরাতন পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এসব যেনো দেখার কেউ নাই।

    জানা গেছে, দেশের সরকার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোনো পুরাতন পুকুর পুনঃখনন করতে চাইলে তা যথাযথ নিয়ম মেনে দরখাস্ত করে তারপর অনুমোদন নিতে হয়। সেখানেও বলা থাকে পুকুর খননের মাটি যেন কোনো পাকা বা কাঁচা রাস্তায় না উঠে। কিন্ত্ত তার পরেও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ ও রাতৈল মাঠে একশ্রেণীর মাটিদস্যু চক্র
    রাতের আঁধারে পুকুর খনন ও সেই মাটি নিষিদ্ধ ডামট্রাকে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে।

    এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। অটো চালক জব্বার, মিজান, সিএনজি চালক মনিরুল, বাসির ও মজিদুল বলেন, তানোর-বায়া রাস্তায় যেভাবে মাটির স্তুপ জমা হয়েছে, তাতে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে, ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু মাটিদস্যু চক্রকে ঠেকানো যায় না। তারা বলেন, ওসি সাহেব যেটা করেছেন সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ। তারা থানা পুলিশের এমন ভুমিকা আগামিতেও দেখতে চাই। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, কৃষি জমিতে পুকুর খনন এবং এমনকি পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট করে পুরাতন পুকুরের মাটি বিক্রির কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ