• আমার দেশ

    তানোরে আদিবাসী পল্লীতে খাবার পানির নেই সংকট

      প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:২৪:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি: 

    রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার নাগরিকদের খাবার পানির সংকট দূর করে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেয়র সাইদুর রহমান। বরেন্দ্র অঞ্চলের খরাপ্রবন এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা। খাবার পানির জন্য হাহাকারের মত অবস্থা ছিল। পানির একমাত্র ব্যবস্থা ছিল পেট্রোল পাম্পের মটর। সেখান থেকে পানি নিতে পরিবার প্রতি গুনতে হত ২৫০ টাকা করে, তাও ইচ্ছেমত পানি আনতে পারত না। সেই সমস্যা দূর করতে তিনটি বরিং বসিয়ে সাপ্লাই লাইন করে দেয়া হয়েছে। এতে করে চরম স্বস্তিতে আদিবাসী পল্লীর জনসাধারণ। 

    জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে খাবার সুপিয় পানির সংকটে ভুগছিল মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর ও মাহালী পাড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনসাধারণ। ভোটের আগে শুধু প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিলেও খাবার পানির সুব্যবস্থা করেননি কোন জনপ্রতিনিধি। কিম্ত মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সাইদুর রহমান কিভাবে খাবার পানির ব্যবস্থা করা যায় সেটি নিয়ে অভিজ্ঞ মহলের সাথে ও ভূগর্ভস্থ পানি বিশেযজ্ঞদের দারস্থ হন। কারন মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় ভূগর্ভের পানি নেই বললেই চলে। তানোর পৌর সদর এলাকায় ১৭০/১৮০ ফিটের মধ্যে ভূগর্ভ থেকে পানি পাওয়া যায়। কিন্তু মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় এর দ্বিগুণ খনন করেও পানি মিলেনা। সেই অসাধ্য কে সাধন করে তিনটি বরিংয়ের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন শ’র অধিক পরিবারকে খাবার পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। 

    পল্লীর জনসাধারণ বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আধা ও এক কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি আনতে হত। তাও নিজের স্বাধীনতায় না। মটর মালিক যখন মটর চালাবেন তখন পানি আনতে হবে। সকালে পানি আনা হয় সারা দিনের জন্য। ওই পানি বিকেলে খাওয়া যেত না। কারন আমরা দরিদ্র জনগোষ্ঠী, আমাদের বাড়িতে ফ্রিজ নেই যে সকালের পানি বিকেলে কিংবা রাতে খেলে ঠান্ডা থাকবে। অন্যের মটরে পানি নিত হত লাইন ধরে। যার কারনে সময়ও লাগত অনেক । কিন্তু মেয়রের একান্ত প্রচেষ্টায় এখন পানির ট্যাপ বাড়ির আঙ্গিনায়। এখন আর লাইন ধরে পানি নিতে হবে না, ইচ্ছেমত খাবার পানি ও গোসল করাসহ যাবতীয় কাজ করা যাবে।

    সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে মেয়র তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সুপিয় খাবার পানির ব্যবস্থা করা। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহের বানিতে পাঁচন্দর ও মাহালী পাড়া আদিবাসী পল্লীর জনসাধারণের খাবার পানির ব্যবস্থা করতে পেরেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গ্রামে সুপিয় খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে।

    গত রবিবার খাবার পানি সাপ্লায়ের উদ্বোধন করে আদিবাসী জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন মেয়র সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ৪০০ ফিট খনন করে তিনটি বরিং বসানো হয়েছে। পৌরসভা ও ডাসকো এবং বাংলাদেশ এনজিওর প্রায় ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে বরিং ট্যাংক ও সাপ্লাই লাইন দেয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনশোর অধিক পরিবার সুপিয় পানির সুবিধা পাবেন। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার প্রতিটি ঘরেঘরে সুপিয় খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে। কারন পৌরবাসী অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে আসায় আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন আমি যেন তাদের আসাগুলো পুরুন করতে পারি এটাই আমার কামনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ