• Uncategorized

    পটুয়াখালীর সদর হাসপাতালে বয়স গোপন করে চাকুরী,বহাল তবিয়তে আছে মজিবর।   

      প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২০ , ৫:০৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে বয়স গোপন করে ভূয়া সার্টিফিকেটে কুক/মশালচি পদে চাকুরী করছেন মজিবর। রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এ যেন দেখার কেউ নেই। অভিযোগ এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের দাবী

    ঘটনারসুএে জানাগেছে, ২০০৪ সালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস। এ বিজ্ঞপিতে উল্ল্যেখ করা হয়, যে কোন পদের প্রার্থীদের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে আবশ্যক। কিন্তুু দেখামেলে ৪০ বছর বয়সি মজিবুর রহমান মৃধা নিজের  বয়স গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ৮ম শ্রেণী পাসের সার্টিফিকেট হাসিল করে আবেদন করেন কুক/ মশালচি পদে। যানাযায় এ পদটিতে সর্বমোট ৭০ জন আবেদন করলেও সরকারি দপ্তরকে ম্যানেজ করে চাকুরী ভাগিয়ে নেয় এই মজিবর মৃর্ধা।

    জানাযায়, মজিবুর রহমান মৃর্ধার নিজ বাড়ী সদর উপজেলার লাউকাঠী গ্রামে। তিনি লাউকাঠি ইউনিয়নের দড়িতালুক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে ১৯৯৯ ইং সাল পর্যন্ত অধ্যায়নরত ছিলেন এই মর্মে ৮ম শ্রেণী পাসের যে সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন, সেই সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৬-০৫-১৯৮৬ ইং।

    অপরদিকে তার একমাত্র কণ্যার ২০০৭ সালের এসএসসি পাসের সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৬-০২- ১৯৯১ ইং। বাবা ও মেয়ের এ দুই সার্টিফিকেট অনুযায়ী মেয়ের বয়সের চেয়ে বাবা মজিবুর রহমান মৃধার বয়স মাত্র ৪ বছর ৯ মাস বেশী।

    উক্ত বিষয়ে অভিযোগকারীদের দাবী ৪ বছর ৯ মাসে কিভাবে সন্তানের পিতা হলেন মজিবুর রহমান মৃধা। তার দাখিলকৃত সার্টিফিকেট ভুয়া। এমন ভূয়া সার্টিফিকেটে চাকুরী নিয়ে দেশের সাথে প্রতারণাকারীকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী এবং এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন কর্তৃপক্ষ এমটাই দাবী জানিয়েছেন তারা।

    এছাড়াও যানাযায়, মজিবুর রহমান মৃধা ১২-১০-২০০৪ ইং সালে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে কুক/মশালচি পদে কর্মরত আছেন।

    এ ব্যাপারে স্বাক্ষাতকারে মজিবুর রহমান মৃধা কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জন্ম এবং তার মেয়ের জন্ম কত সালে তা তার মনে নেই। তবে তার পিছনে একটি চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন এবং তিনি দাবী করেন আমার জন্মসনদ সঠীক আপনারা তদন্ত করে যা পারেন তাই করেন, এমনটাই জানান তিনি।।

    এ বিষয়ে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃমোঃ আবদুল মতিন বলেন, এতো কঠিন বিষয়।আমি এ ব্যাপারে আগে কিছুই জানি না। তবে সঠিক কাগজপত্র সহ প্রমান পেলে এবং  ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ