• ঐতিহ্য

    কিশোরগঞ্জের বাফলার বিলে অতিথি পাখির মেলা

      প্রতিনিধি ২১ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৫৯:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্ক:

    কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) :বিলপাড়া গ্রামে বাফলার বিলে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখি —ইত্তেফাককিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) :বিলপাড়া গ্রামে বাফলার বিলে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখি
    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের বাফলার বিলে হাজার হাজার বালিহাঁস, সরালিসহ নানা জাতের পরিযায়ী পাখির মেলা বসেছে। কাকডাকা ভোরে দল বেঁধে আসা পাখির কলরব কানে আসে। বলতে গেলে রোজ ঘুম ভাঙে এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে পড়ছে বিলের জলাশয় ও হাফিজ উদ্দিন স্বপনের মত্স্য খামারে। পাখিদের নানা সুরেলা কণ্ঠের হাঁকডাক, ওড়াউড়ি, জলকেলিতে মুখর হয়ে উঠেছে চারপাশ। পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমীরা বাফলার বিলকে পাখির অভায়রণ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

    স্হানীয়রা জানান, প্রতি বছর শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে এই পাখিগুলোর আগমন ঘটে। বিলের আশপাশের গাছে পাখিরা বাসা বাঁধে। ছানা ফুঁটিয়ে বড় করে। বসন্তের সময় আবার চলে যায়। প্রতিদিন অতিথি পাখির পাশাপাশি পানকৌড়ি, চাপাখি, টুনটুনি, দোয়েল, শালিক, রাতচরা, কানা বক, সাদা বক, ধূসর বক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখির যেন মেলা বসে এখানে। সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত একরের সরকারি খাসভুক্ত বাফলার বিলের একাংশ দখলমুক্ত ও খনন করে গড়ে তোলা হয়েছে মত্স্য অভয়াশ্রম। পাশেই ১০০ বিঘা এলাকা জুড়ে মাছের খামার। সব মিলে ঐ স্হান পাখিদের প্রজনন, খাদ্য আহরণসহ আবাসস্হলের নিরাপদ ভূমি। পাখিদের ডুব-ডুব লুকোচুরি, আহার শিকার, খুঁনসুটি, কিচিরমিচির শব্দ, পাখা ঝাঁপটানির মোহনীয় তাল, ডানা মেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়া—এমন মনোরম দৃশ্য অন্যরকম আবহ তৈরি করে। গোধূলির দিকে পাখিরা আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছপালা, বাঁশঝাড়, কচুরিপানার ঝোপে।

    মত্স্য খামারের মালিক হাফিজ উদ্দিন স্বপন জানান, আমরা বাফলা গ্রামের মানুষ প্রকৃতিপ্রেমী, পাখিপ্রেমী। এ কারণেই পাখির অভয়ারণ্য এই বাফলার বিলপাড়া গ্রাম। তিনি আরো জানান, খামারসহ বিলে পাখির নিরাপত্তা রক্ষায় সচেনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি পাখিদের যেন কেউ ক্ষতি না করে, সেজন্য খামার তত্ত্বাবধায়ক সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এই এলাকাকে সরকারিভাবে পাখির অভায়রণ্য ঘোষণা করা হলে শীত মৌসুমে পাখির ভিড় আরো বাড়বে।

    রণচণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান (বিমান) বলেন, ‘অতিথি পাখির আগমনে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এসব পাখি আমাদের মনে আনন্দ দেয় এবং এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এই বিল পাখিদের একটি অন্যতম নিরাপদ আবাসস্হল হিসেবে গড়ে উঠেছে। এদের শিকারির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ