• সারাদেশ

    উল্লাপাড়ায় জ্বাল স্বাক্ষর করে বিএডিসি’র গভীর নলকুপের কমিটি গঠন, ৫লক্ষ টাকা আত্মসাৎ কোর্টে মামলা দায়ের

      প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২৩ , ৯:৩১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান-সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

    বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টার সময় সরজমিনে গিয়ে মামল সুত্রে জানাযায়, উপজেলার শ্যামাইলদহ গ্রামের মৃত আজম আলী প্রাং এর ছেলে ছোহরাব আলী (৬৫) বিজ্ঞ উল্লাপাড়া থানা আমলী আদালত সিরাজগঞ্জ গ্রামের মৃত কোবাদ আলীর ছেলে ০১.রফিকুল ইসলাম(৪০), মৃত ইসমাইল মন্ডলের ছেলে ০২.সফিজ উদ্দিন(৫০), ও মৃত কোবাদ আলীর ছেলে নজরুলকে আসামি করে এবং রহিমপর গ্রামের সুরতজ্জানের ছেলে ০১. সামসুল হক, শ্যামাইলদহ গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ০২.রাশিদুল, আবু তাহপরের ছেলে ০৩.রেজাউল করিম মাঙ্গন, আজহার আলীর ছেলে ০৪.আঃ হান্নান ও মৃত সোনা প্রাং ছেলে জহুরুল কে স্বাক্ষী মনোনীত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

    মামলার বিবরণী ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন উল্লাপাড়া জোনের পশ্চিম সাত বাড়িয়া মৌজার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতাধীন পুরাতন এসইউ-০৩ গভীর নলকুপটি অচল অবস্থায় পররিয়া থাকায় সচল করার জন্য প্রান্তিক কৃষকগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এবং প্রান্তিক চাষিগন ৫জুলাই/২৩ইং তারিখে একই গ্রামের রেজাউল করিমের বাড়িতে ঘরোয়া মিটিংয়ে প্রান্তিক চাষীগণ বিঘা প্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান পূর্বক ৭০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। এবং উক্ত সদস্যদের আদায়কৃত ৮লক্ষ ৭৫হাজার টাকা রফিকুল ইসলামের নিকট জমা রাখেন।

    উক্ত কমিটিতে কোন রেজুলেশন ছাড়াই রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও ছোহরাব আলী কে ম্যানেজার এবং সফিজ উদ্দিনকে ক্যাশিয়ার নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম মৌখিক সিদ্ধান্ত বাতিল করিয়া নিজের মনগড়া ভাবে সদস্যদের সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই নিজেকে ম্যানেজার,ছোহরাব আলীকে সভাপতি ও সফিজ উদ্দিনকে ক্যাশিয়ার করে সকল সদস্যর স্বাক্ষর জ্বাল কর রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি উল্লাপাড়া বিএডিসি কার্যালয়ে জমা দিয়ে অফিস হতে অকেজো কিছু পার্টসপাতি এনে গভীর নলকুপটি পরিচালনা করেন। উক্ত টাকা হতে ৫ লক্ষ টাকা রফিকুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন।

    জ্বাল স্বাক্ষর বিষয় উক্ত কমিটির সদস্য আঃ হান্নান বলেন,আমি টিপ সহি দিতে পারি কিন্ত স্বাক্ষর দিতে পারিনা আমার স্বাক্ষর জ্বাল করা হয়েছে। কমিটির সদস্য প্রান্তিক চাষী ফজুলর রহমান বলেন আমার স্বাক্ষর না নিয়ে জ্বাল কর হয়েছে। সদস্য আঃ সাত্তার বলেন, আমার কাছে স্বাক্ষর নিতে আসা হয়নি আমার স্বাক্ষর জ্বাল করা হয়েছে।
    সদসয় রেজাউল করিম মাঙ্গন বলেন আমি কিছুই জানি না আমার স্বাক্ষরটাও জ্বাল করা হয়েছে।

    এই মামলার বাদী ছোহরাব হোসেন বলেন, আমাকে সহ এই মামলার স্বাক্ষীদের ভয়ভিতি হত্যা সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে। এই মর্মে আমি উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি স্বাক্ষর করিনি আমার স্বাক্ষর জ্বাল করা হয়েছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই সরকারের কাছে এর সঠিক বিচার চাই। উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ