• Uncategorized

    ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ৯:৩৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

    নাটোরে-সাবেক-মেম্বার-হত্যার-প্রধান-আসামির-মরদেহ-সিরাজগঞ্জে সলঙ্গা থানার পাটধারী এলাকার হাটিকুমরুল-নগরবাড়ি সড়কের পাশ থেকে বুধবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ

    ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আফতাব হত্যার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পিবিআই ও সিআইডি তদন্ত করছে।’

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যা মামলার ১ নম্বর পলাতক আসামি বর্তমান ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    সলঙ্গা থানার পাটধারী এলাকার হাটিকুমরুল-নগরবাড়ি সড়কের পাশ থেকে বুধবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

    নিহত ফরিদুল ইসলাম আকন্দ নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব হত্যা মামলার ১ নম্বর পলাতক আসামি ছিলেন তিনি। তারা বাবার নাম খোকা আকন্দ।

    সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আফতাব হত্যার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পিবিআই ও সিআইডি তদন্ত করছে।’

    নাটোর সিংড়া থানার ওসি দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ কে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব আলীর সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ৯ সেপ্টম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আফতাব গ্রুপের সমর্থকরা বামিহাল দশোপাড়া গ্রামে ফরিদুলের সমর্থক রুহুল আমিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় রুহুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।

    এ ঘটনার জেরে পরে ফরিদুলের সমর্থকরা আফতাব ও তার সমর্থক কালামের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আফতাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রুহুল আমিন, কালামসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুহুল আমিন।

    পরে দুই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় উভয়পক্ষের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    আর মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আফতাব হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম। এরই মধ্যে বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হলো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ