• রাজশাহী বিভাগ

    আলোচনায় ময়না-প্রদিপ তানোর আওয়ামী লীগের সম্মেলন

      প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২২ , ১:৪৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সৈয়দ মাহামুদ শাওন-নিজস্ব প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২১ মার্চ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমুলের ভাষ্য এবার সম্মেলনের মুলপ্রতিপাদ্য আর্দশিক ও সদর ভিত্তিক নেতৃত্ব ঠিক করা। অনেক বড় নেতা অথচ বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমান এমন নেতৃত্ব চাই না, তারা চাই আর্দশিক নেতৃত্ব যে নেতৃত্ব কখানো নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিবে না। তানোরে যোগ্য নেতৃত্ব থাকার পরেও আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে সদর ভিত্তিক কোনো আর্দশিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে পশ্চিম ও পুর্বপাড়া নরসুন্দর নির্ভর বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক নেতৃত্বের কারণে বিপুল সম্ভবনা থাকার পরেও কখানোই সদরে সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার করতে পারেনি দলটি।

    তানোর সদরে দলের আদর্শিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার মতো নেতৃত্ব থাকলেও নানা ষড়যন্ত্র ও কুটকৌশল করে সদর ভিত্তিক নেতৃত্ব বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এবার নেতাকর্মীরা সদরে তাদের নেতা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর । তবে অনেকে দলে শুদ্ধি অভিযানের পর কাউন্সিল করার দাবি করে কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।জানা গেছে, এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আদর্শিক নেতৃত্ব লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও সাধারণ সম্পাদক পদে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন। নেতৃত্ব নির্বাচনে এবার আদর্শ ও নীতিনৈতিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক আলোচনাতেই নাই।উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নার রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, নির্বাচনী কৌশল, গ্রহণযোগ্যতা ও আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। অন্যদিকে প্রদিপ সরকারকে নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে।

    আলোচনা-সমালোচনা বা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার পরিবারের অবদানের কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই। আবার তার আদর্শিকতা, নেতৃত্বগুন, রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার কৌশল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে একজন আদর্শিক নেতার যে ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন তার সবগুলো প্রদিপ সরকারের মধ্য বিদ্যমান রয়েছে। কিন্ত্ত পশ্চিম ও পুর্বপাড়া নরসুন্দর নির্ভর নেতৃত্বের ষড়যন্ত্র এবং বেঈমানীর কারণে প্রদিপ কখানোই তার প্রতিভা মেলে ধরতে বা বিকাশ ঘটাতে পারেনি, তবে এবার সেই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে তৃণমুল। ফলে বির্তকিত নেতৃত্ব সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কপাল পুড়ছে এটা প্রায় নিশ্চিত।

    জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্ত্ত করোনার কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।এদিকে আগামি২১মার্চ সোমবার সম্মেলনের খবরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।এতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তৃণমুলের ভাষ্য, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব দিতে হবে, আর সেই ক্ষেত্র এগিয়ে রয়েছেন ময়না ও প্রদিপ সরকার। তৃণমুলের অভিযোগ উপজেলা কমিটির সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন একটানা প্রায় একযুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তাদের বেঈমানির কারণে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড কখানোই জোরদার হয়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ