• আন্তর্জাতিক

    আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস-২০২২

      প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৬:৫০:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সারাবিশ্বে শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহের শনিবার আন্তজার্তিক শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতা কর্মী বা ঝাড়ুদার যে নামেই বলা হোক না কেন শকুন এখন মহাবিপন্নের তালিকায়। বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য ধ্বংসের মতো শকুনও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে ৬ প্রজাতির শকুনের মধ্যে বাংলা শকুনটি-ই কোনমতে টিকে আছে। এদেশে বেশি দেখা যেত বলেই তাদের নামের শেষে বাংলা শব্দটি চলে এসেছে। দেশীয় প্রজাতির বাংলা শকুন ইংরেজী নাম White-rumped vulture।

    সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। দেশে ৬ প্রজাতির মধ্যে ২ প্রজাতি স্থায়ী আর অন্যরা পরিযায়ী। শকুন বা বাংলা শকুন ছাড়াও এতে রয়েছে রাজ শকুন, গ্রীফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন-হিমালয়ী শকুন, সরুঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন। পৃথিবীব্যাপী শকুন বিলুপ্ত হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, শকুন না থাকার কারনে বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, ক্ষোরা রোগ ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়ার এবং জলাত্মঙ্ক রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শকুন বিলুপ্ত হওয়ার আরো বড় একটি কারণ বাসস্থানের অভাব। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বড় ও উচুঁ গাছগুলিতে শকুন বাসা বাঁধে।

    বর্তমানে শকুনের বসতি তৈরী ও বিশ্রাম নেয়ার মতো গাছগুলো বিলীন হচ্ছে। ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শকুন দেখা গেছে ২৬০টি। ২০১৬ সালে ১০ বছর মেয়াদি (২০১৬-২৫) শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। শকুন পচা-গলা মাংস খাওয়াসহ ভয়াবহ অনেক জীবাণু হজম করে থাকে।বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা গবাদিপশুর মরদেহ খাওয়ার কারণে শকুন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বাসস্থানের অভাব এবং বিরূপ খাদ্য পরিবেশবান্ধব শকুনের দ্রুত অদৃশ্য হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

    বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৮ ধারায় পাখি বা পরিযায়ী পাখি হত্যার সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ