প্রতিনিধি ২৩ মার্চ ২০২১ , ১:২৯:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক থানার মধ্যে একটি সরাইল। থানায় সেবা পাওয়া মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আহমেদ।
এ থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মানও বেড়েছে। থানার মূল ভবনে রং-তুলির আঁচর আর থানা চত্বরে ময়লা পরিষ্কার করায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান।
এই স্থাপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সরাইল থানার ওসি আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আহমেদ। বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। ওসি আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আহমেদের সৃজনশীলতায় বদলে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার চিত্র।
ওসি আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আহমেদ এ থানায় যোগদানের প্রায় দুই মাসের মধ্যেই সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে সরাইল থানা ও পুলিশ হয়ে উঠেছে এ উপজেলার মানুষের আস্থার ঠিকানা।
তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। ইতোমধ্যে অপরাধ দমনে সরাইল থানা জেলার শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমে এ থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দে জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন এসআই জাকির হোসেন খন্দকার।
ওসি আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আহমেদ বলেন, কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।
মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা তিনি সজাগ আছেন।