• রাজশাহী বিভাগ

    ১৪ বছরেও বিচার হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বুলবুল হত্যা’র

      প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২২ , ৩:৩৬:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    পাবনা সুজানগর উপজেলায় সাগরকান্দি ইউনিয়নে
    মুরারীপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আফজাল হোসেন এর বড় সন্তান মরহুম বুলবুল হোসেন হত্যা মামলার সঠিক বিচার আজও হয় নি গত ১৭/১২/ ২০০৯ সালের সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে আজও মরহুম বুলবুল হোসনের পরিবার দিন অতিবাহিত হয়। বুলবুল হোসেন তিনি ১৪/১২/২০০৯ ইং তারিখে ছুরির আঘাত জনিত কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন।
    বুলবুল হোসেনকে সন্ধার সাড়ে সাতটা নাগাদ তাকে মো: লেবু মোল্লা বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে মামা শশুড় আফজাল হোসেন কে ডান দেন তবে বুলবুল হোসনও তার ডাক শুনে খাবার শেষ করে যান

    উক্ত স্থানে যাওয়ার পরে সেখানে লেবু মোল্লা, মিঠু মোল্লা,সীমা খাতুন, আমবিয়া খাতুন,ও আনোয়ার হোসেন ছিলেন তখন তাদের এক পর্যায়ে কথা বার্তা চলে তবে হঠাৎই তাদের কথাবার্তার মধ্য উশৃঙ্খল সৃষ্টি হয় তার কারণ ছিলো মূলত লেবু মোল্লা সহ সীমা খাতুন উক্ত কথাবার্তা কাটাকাটির শুরু হয় এবং মিটু মোল্লা হুটহাট করে চাকু বের করে বুলবুল কে পেটে আঘাত করে এবং বুলবুল মাটিতে পরে যায় বুলবুলের পরিবারের লোক জন তাকে ধরে বাইরে বের করে। তার কিছু সময় পর পুলিশ আসে এবং আসামি মিটু মোল্লা ও তার ভাই লেবু মোল্লা কে গ্রেপতার করে এবং মিটু মোল্লা পুলিশের কাছে জবান বন্দী দেয় যে সে বুলবুল কে চাকু মেরেছে এবং পুলিশ চাকু সহ মিটু মোল্লা এবং লেবু মোল্লা কে ধরে । চাকু লম্বা ছিল প্রায় ১০” ইঞ্চি।

    এবং উক্ত ঘটর্নার দিন সন্ধা সাড়ে সাতটা নাগাদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দ্রুততর সাথে তাৎক্ষণিকভাবে তারা বুলবুল হোসেন কে পাবনা সদর হাসপাতাল (২৫০) শর্ষ্যা বিষিষ্ট্য মেডিকেলে জরুরী বিভাগে ভর্তি করেন ও ভর্তির প্রায় কয়েক ঘন্টা পরে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে জরুরি বিভাগের ডিউটিরত চিকিৎসকগণ মিলে বুলবুল হোসেন কে দ্রুতভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। আফজাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্য মিলে ভালো চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করেন।

    বুলবুল হোসেন কে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির পরে তার রক্তের ঘাটতি দেখা দেয় কারণ তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার কারণে তার বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয় এবং পর্যায়ক্রমে তার রক্ত বেশি পরিমানে ক্ষরণ হতে থাকে তার পেটে ছুটি আঘাত জনিত কারণে প্রায় মৃত্য ন্যায় অবস্থায় জীবন প্রায় করে আর রাজশাহী মেডিকেল ভর্তির পরে ডাক্তারের পর্রামশ অনুযায়ী তাকে প্রতিদিন দুই ব্যাগ করে রক্ত দিতে হয়, শুধু মাত্র তার পরিবার নয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ব্লাড ব্যাংকের সদস্যরা বুলবুল হোসেনের মরণাপন্ন অবস্থা দেখে তার সম্পূর্ণ রক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা শিক্ষার্থীরা দেন।

    এরকম প্রায় চিকিৎসা চললাম থাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ১৮ দিন তার জরুরিয়ত চিকিৎসা চলাকালীন শেষে ১৪/১২/২০০৯ ইং তারিখে মৃত্য হয় আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটে আর উক্ত ছুরি আঘাত কারী লেবু মোল্লাকে পুলিশ বাদী মামলা হয় ও উক্ত ঘটর্নার দিন সন্ধা প্রায় আনুমানিক ৮:২০ মিনিটে গ্রেপ্তার করে পাবরা জেলা জেল হাজতে প্রেরণ করে, এবং মোট তিনজন কে বাদী করে মামলা দায়ের করেন সুজানগর থানায় মামলা নং-৭৫১২, ধারা নং-৪৪৮।৩২৩।৩০২।৩৪ দ: বি: মামলা তারিখ: ২৬/১১/২০০৯ ইং।

    মামলায় বাদীগণঃ
    ১/আনোয়ার হোসেন
    ২/মোছাঃফাহিমা খাতুন
    ৩/মোছাঃতাছলিমা খাতুন
    ৪/মোছাঃরেখা খাতুন
    ৫/মোছাঃশিউলী খাতুন
    ৬/মোছাঃআম্বিয়া খাতুন সহ আর ৬ জন বাদী হয়ে সুজানগর থানায় এযহার দায়ের করে।

    মামলার বিবাদীগণঃ
    ১/ আমিনুল করিম মিটু
    ২/ আনোয়ারুল কবির লেবু
    ৩/ টিটন মোল্লা

    তিনজনের নামে মামলা দায়ের হলেও সুষ্ঠ বিচার থেকে বঞ্চিত আজও তারা মৃত্য বুলবুল হোসেনর বিচারের আশায় প্রতি মাসে পাবনা জেলা জর্জ কোটে গেলেও ঘন্টার পর ঘন্টা থাকার সর্ত্বেও সঠিক সময় কোর্টে জবাব দিতে পারে না, এবং প্রতি মাসে আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয় তবে বেড়া সার্কেল অফিসে থেকে আমিনপুর থানা পর্যন্ত ওয়ারেন্ট আসলেও সর্বশেষ আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আলোকিত ৭১ সংবাদ পত্রিকায় উক্ত বিষয়টি জানায়।

    মরহুম বুলবুল হোসেনের ভাই মামুন মন্ডলের উপরেও পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে ১/আরিফুল কবির লেবু (৪০) ২/ মো: টিটন মোল্লা (৩০) প্রায়শ মামুন মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার সহ নানা ধরণের নির্যাতন করে। তারই জের ধরে গত ০৮/০৯/২০২০ তারিখ বেলা আনুমানিক ১০: ৩০ ঘটিকায় তার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর এসে তার নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং এক পর্যায়ে মামুন মন্ডল নিষেধ করলেও তার এলোপাথাড়ী মারপিট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

    এই ঘটনায় মামুন মন্ডল ও তার মাতা দুইজনে বাদী হয়ে তার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে সেই দিনই আমিনপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তারপরও নানা ধরণের হুমকি এখনো দেয় বলে আলোকিত ৭১ সংবাদ এর অনুসন্ধান টিমকে জানায় এবং মামুন মন্ডল সহ নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক তার গ্রামের আশে পাশে অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ মরহুম বুলবুল হোসনের হত্যা কথাটি সত্যতা বলে জানায় এবং তারা আলোকিত ৭১ সংবাদ এর মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানায় যেন পুলিশ প্রশাসন সহ জেলা পুলিশ সুপার নিকটে বিষয়টি দ্রুত বিচারের আশা কামনা করছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ