• Uncategorized

    সব বাদ দেন, আসেন বাচ্চা মানুষ করি, এতেই হবে-টেকসই উন্নয়ন: ডাঃ ইকবাল

      প্রতিনিধি ১০ অক্টোবর ২০২০ , ৬:০৯:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    ইমন ইসলাম-রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

    রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল হোসেন তার ফেসবুক আইডে লিখেছন, সব বাদ দেন আসেন বাচ্চা মানুষ করি, এতেই হবে টেকসই উন্নয়ন।

    তার লেখাতেই বোঝা যায় সকল অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি।কারন কিছু কিছু অভিভাবকরাই সন্তান মানুষ না করে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন বা তারাই গড়ে দিতে চান সন্তানের ভবিষ্যৎ

    জিপিএ ৫-ওয়ালা, গোল-গাল, আত্মকেন্দ্রিক, সনিক বুমেও নট নড়ন-চড়ন ;পরিবেশ-সমাজ পচে দুর্গন্ধ,তাও গা রি-রি করেনা, এমন অবোধ বাচ্চা/বুড়া আর কত?

    এবার সময় হয়েছে, গায়ে সোঁদা-মাটির গন্ধ লাগানো,রোদ-বৃষ্টির সংস্পর্শ ওয়ালা,বাসন্তী হাওয়ায় মাখামাখি,আদব-শিষ্টাচার সম্মৃদ্ধ, অন্যের অনুভূতির প্রতি  শ্রদ্ধাশীল জেনুইন দেশি বাচ্চা তৈরি করার।

    শিশুকে মনপ্রাণ উজাড় ভালোবাসা দিন; কোমল-কুসুম মনটাতে আলো-ছায়ার খেলা চলুক, ওর সাথে কণ্ঠ নামিয়ে কথা বলুন,সামর্থ অনুযায়ী খেলনা বা উপহার দিন,দুস্টুমি করলে হাসি-মুখেই শোধরান।

    স্নেহের ভাঁড়ায় পূর্ণ হৃদয়,ভালোবাসার যোগান দিবেই।এরপর  ধীরে ধীরে শিখান:

    শিশুকে নীতি শিখান: বড় হয়ে  দুর্নীতি করবেনা।

    নারী/বয়োজ্যেষ্ঠ/সকল মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এর চর্চা ঘর থেকেই শুরু করুন: বড় হয়ে নিপীড়ক হবে না। সালাম/অভিবাদন শিখান: সম্পর্ক গড়তে শিখবে।

    নিজের কাজ নিজেকে করতে শিখান: অপরের কাজকে সম্মান করবে।বয়োজ্যেষ্ঠ/পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি খেয়াল/যত্ন প্রদর্শন শিক্ষা দিন (যেমন:কোনো সদস্যকে কে পানি বা খাবার বা যেকোনো প্রয়োজনে দিনে অন্ততঃ একবার সহযোগিতা করেছে এমন কাজ) : অন্যের প্রতি দায়িত্ববোধ শিখবে।

    অন্যেরও প্রয়োজন আছে:স্কুলে টিফিন একটু বেশি দিন,কোনো বন্ধু না এনে থাকলে তার সাথে শেয়ার করবে;সামর্থ থাকলে একটা পেন্সিল বা খাতা বেশি কিনুন,সেটা তার বন্ধুকে দিতে বলুন: সব কিছুই নিজের লাগবে,এই কৃত্রিম অভাববোধ সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবেনা।

    চোখ-কান খোলা রাখুন।পড়শীর কান্না কি শুনতে পান!পাড়া-পরিজন  অসুস্থ হলে, সেবা বা সামগ্রী উপহার দিন,অনাহারে খাবার দিন; কিছু না পারলে,মোলায়েম স্বরে কথা বলুন বা  মাথায় আদরের পরশ  বুলিয়ে দিন।বাচ্চাকে সাথে নিয়ে কাজগুলো করুন; এই শিশু বড় হলে সমাজের দুঃখ দূর করবে, নিদেনপক্ষে অন্যের ক্ষতির কারণ হবেনা।

    জীবন যাপনে পরিমিতিবোধ তৈরি করুন।সামর্থ আছে বলেই লাগামহীন খরচ করবেন না:শিশু বড় হয়ে মিতব্যয়ী হবে,অন্ততঃ অন্যের অশান্তির কারণ হবেনা।

    শিশুকে চাওয়া মাত্রই সবকিছু দিবেন না:কেন চায়,কতটুকু প্রয়োজন জানার চেষ্টা করুন।জীবনে চাইলেই সব পাওয়া যায়না,অর্জন করতে হয়: শিশু যেকোনো প্রয়োজনে সময় ও ধৈর্য ধরতে শিখবে,অপ্রয়োজন  আবদার করবে না।

    শিক্ষা মানে শুধু হোম ওয়ার্ক,পরীক্ষা নয়: মাসে অন্ততঃ একটি গল্প বা অন্য সুখপাঠ্য বই পড়তে দিন:শিশুর জীবনবোধ পাল্টে যাবে;শিশুর সাথে, হয়তো আপনারও।

    লিখে দিলাম: সোনার মানুষ তৈরি হলে ,একদিন স্বপ্নের সোনার বাংলাও হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ