• রাজশাহী বিভাগ

    মান্দায় মাছ লুট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

      প্রতিনিধি ১ মে ২০২২ , ১১:৩১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নওগাঁর মান্দা উপজেলায় এক ব্যক্তির পুকুর থেকে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের (ইউপি) পারএনায়েতপুর গ্রামে এই কথিত মাছ লুটের এই ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় পারএনায়েতপুর গ্রামের বিশ্বনাথ সরদারের পুত্র উজ্জ্বল কুমার সরদার বাদি হয়ে একই গ্রামের রফিজ উদ্দিনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। এদিকে এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, উজ্জল কুমারের দাবি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তার ব্যক্তিমালিকানাধীন ভোগদখলীয় পুকুরে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। কিন্ত্ত গত শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করেই একই গ্রামের রফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে আজিজার সোনার, ময়নুল ইসলামসহ আসামিরা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বেড়জাল দিয়ে পুকুর থেকে অন্তত লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করেছে। তারা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়েছে। অপরদিকে বিবাদী রফিজ উদ্দিনের দাবি পুর্ববিরোধের জের ধরে তাদের ফাঁসিয়ে বসে আনতে প্রতিপক্ষ উজ্জ্বল কুমার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাছ লুটের অভিযোগ করেছে, সরেজমিন ঘটনা পরিদর্শন করা হলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালীর ইন্ধনে উজ্জ্বল কুমার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাছ লুটের অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। একাধিক গ্রামবাসী জানান, বিবাদীরা এবিষয়ে সরেজমিন তদন্তের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য, উজ্জ্বলের করা কথিত মাছ লুটের অভিযোগ ভিত্তিহীন, কারণ হিসেবে তারা বলেন, রোজার মাসে ভোর বেলায় বেড়জাল দিয়ে লাখ টাকার মাছ লুট করা প্রায় অসম্ভব। কারণ রোজার দিনে প্রতিটি বাড়িতেই ভোর রাতের আগেই মানুষ জেগে উঠেন, তাই এই সময়ে মাছ লুট করলে পুকুর পাড়সহ গ্রামের মানুষের বিশেষ করে নামাজি ব্যক্তিদের চোখে পড়ার কথা। আবার কেউ কেউ বলছে, একটি পুকুর থেকে বেড়জাল দিয়ে লাখ টাকার মাছ লুট করতে যে সময়ের প্রয়োজন তাতে সকাল হয়ে যাবার কথা। চাইলেই তো আর লাখ টাকার মাছ মুহুর্তের মধ্যে লুট করা যায় না, একটি পুকুরে বেড়জাল মেলতেই প্রায় ঘন্টাব্যাপী সময় প্রয়োজন। এছাড়াও বেড়জাল ফেলামাত্রই তো লাখ টাকার মাছ লুট করা যায় না, এই পরিমাণ মাছ ধরতে একাধিকবার জালের টান দিতে হয় ইত্যাদি নানা কথা ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই মাছ ধরার লোকজন সটকে পড়ে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে উজ্জল কুমার বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ