• Uncategorized

    পর্নোগ্রাফি সহ ৩ টি মামলার আসামি উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জামাল হোসেন বরিশালে

      প্রতিনিধি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৮:৫৫:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়,গত ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার বাকের গঞ্জ থানার শিয়াল খান মহল্লার আব্দুল খালেকের ছেলে ও বাংলাদেশ পুষ্টি গবেষণা কেন্দ্রের (বারটান) বরিশালের উদ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা জামাল হোসেন ওরফে সোহেলের সাথে পাবনার মেয়ে আমরিনা আফরোজের সাথে পারিবারিক আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।বিবাহের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা সহ জামাল হোসেন ওরফে সোহেল আমরিনা আফরোজ কে অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন করিত।

    অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন  সহ্য করতে না পেরে,নিজে বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন,পাবনা থানার মামলা নং-২২ এবং জি,আর নং- ১০১৪/২০১৯( পাবনা) যাহা বর্তমানে এন,এস-১৪৯/২০২০ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত,পাবনা বিচারাধীন রয়েছে।পাবনা সদর থানা পুলিশ  গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে  জামাল হোসেন ওরফে সোহেল কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

    গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত জামাল হোসেন ওরফে সোহেল জেল হাজতে ছিলেন,পরে আমরিনা আফরোজের সহিত আপোষের অঙ্গীকার করিয়া আপোষ মিমাংসার সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পান।আমরিনা আফরোজ  অভিযোগে আরো জানান,গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে পাবনা সদর থানায় জি,আর-১০১৪/২০১৯( পাবনা) ধারাঃ-১১/( গ)/৩০,২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ( সংশোধনী/২০০৩) এবং পর্নোগ্রাফি  নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১২ এর ৮(২)/৮(৩) ধারা যাহার সি,আর-৬৪/২০২১( পাবনা) নং মোকদ্দমায়

    গত ইং ৯ ফেব্রুয়ারি  ২০২১ তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিঃ আমলী ১ নং আদালত কর্তৃক W/A ইস্যু করায় বর্তমানে পলাতক আছে। এবং পাবনা পাবনা সদর পারিবারিক সহকারী জজ আদালতে পারিবারিক কেস নং- ১১৫/২০২০ নং মামলা সহ ৩ টা মামলা বর্তমান থাকাকালীন সময়ে কি ভাবে একজন সরকারি কর্মকতা বহাল তবিয়তে চাকরী করছেন বলে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন।

    জামাল হোসেন ওরফে সোহেল জামিনে মুক্তি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উদ্ধতন কর্মকতার মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পাবনা পুলিশ কর্মকর্তাদের চাপ দেন ও আমরিনা আফরোজ কে মামলা তুলে নিতে নানান ধরনের ভয়ভীতি দেখায়।গত ১২ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখে হাজিরার  দিন ধার্য্য থাকায় জামাল হোসেন ওরফে সোহেল পাবনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অফিসিয়াল  গাড়ীতে করে পাবনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকতারা জামাল হোসেন সোহেলকে আদালতে হাজিরা কাজে সরকারি গাড়ীতে  বহন করে। জামাল হোসেন ওরফে সোহেলের ক্ষমতার দাপটে পাবনা পুলিশ প্রশাসন  ও আদালতে আমরিনা আফরোজের নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগীতা করিতে তটস্থ।

    পাবনার অসহায় পরিবারের মেয়ে আমরিনা আফরোজ ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য এবং পরিবারের সদস্যদের  ও তার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল হোসেন ওরফে সোহেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সঠিক নয়, পারিবারিক ভাবে তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল, আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি,এ কারণেই আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ