• Uncategorized

    পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় জাসদ নেতা মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.হাবিবুর রহমান শওকত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।  

      প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২০ , ১২:৩৯:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)+পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান মুক্তিযুদ্ধকালিন পটুয়াখালীর ডেপুটি কমান্ডার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ পটুয়াখালী জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার্স ফোরামের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত ( পটুয়াখালী সদর গেজেট নং – ২৮, লাল মুক্তি বার্তা  নং- ০৬০৩০১০০০৮)

    গত ৩রা আগস্ট সোমবার বিকাল ৩.৪১  মিনিটের  সময়  করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহী..ওয়া.ইন্নাইলাহী.. রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন, গুনগ্রাহী, অনুসারী ও  শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

    অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান  শওকত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৯ জুলাই রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেসনে  ভর্তিহন।

    সপ্তাহ বেশী আইসিইউতে থাকারপর  সোমববার বিকাল ৩.৪১ মিঃ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার মৃত্যুর খবরে ঢাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে ও  পটুয়াখালীতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    প্রকাশ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে তিন তিনবার নার্বাচিত ইউপু চেয়ারম্যান কাঞ্চন অালী মিয়ার সন্তান  হাবিবুর রহমান শওকত ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সময়  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও অাত্মীয় সস্বজনকে না বলেই পালিয়ে ভারতে গিয়ে মেজর এম এ জলিলের অধীনে প্রশিক্ষন গ্রহন করে  অস্ত্র হাতে নিয়ে  মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ১৮ নভেম্বর বর্তমান নির্বাচন কমিশন  (ইসি) কে এম নুরুল হুদা এর নেতৃত্বে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে ঐতিহাসিক পানপট্রি নামক স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সামান্য গোলা বারুদ নিয়ে  জীবনবাজি রেখে  রাতভর যুদ্ধ করে পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে প্রথমে গলাচিপা, কলাপাড়াকে এবং পটুয়াখালী পাকহানাদার মুক্ত করেন। জনশ্রুতি রয়েছে যুদ্ধকালুন সময় পাকহানাদার বাহিনীর দোসর  রাজাকার, অালবদর, অালসামস বাহিনী কর্তৃক লুট করা কয়েক মন সোনা- রূপা উদ্ধার করে সরকারী কোযাগারে জমা দিয়ে সততার পরিচয় দিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন খাঁটি দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও অাপোষহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ