• আইন ও আদালত

    বিদেশে পাঠানোর নামে বেকার যুবকের সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক বিপলু

      প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩:৩৭:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো: রাশেদুল ইসলাম( রাশেদ) চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,

    -বিদেশে পাঠিয়ে ভাল কাজ দেয়ার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে জঙ্গল পথে ওমান পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্য। বিপলু(৩৮)। এদিকে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সহায় সম্বল বিক্রি করা যুবক মাবুদ(৩৫)এখন টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী যুবক মাবুদ সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে আদালতে যাওয়ার প্রন্ততি নিয়েছেন।
    জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মোক্তারপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক রিকাউল হোসেনের ছেলে মাবুদ বলেন,আমার গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে বিপ্লব হোসেন ওরফে বিপলু দীর্ঘদিন ধরে ওমানে থাকার এক পর্যায়ে দেশে ফিরে আসেন। বিপলু আমার সরলতা আর বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে আমাকে বিদেশ(ওমান) ভাল কাজে ও ভাল বেতনে পাঠানোর স্বপ্ন দেখায়। আমি তার দেখানো স্বপ্নে বিভোর হয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে এক পর্যায়ে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। বিপলু বিদেশে পাঠানোর খরচ বাবদ চার লাখ টাকা জোগাড় করতে বললে আমি সহায় সম্বল বিক্রি করে এবং আত্মীয়- স্বজনদের নিকট টাকা পয়সা ধার দেনা করে আজ থেকে এক বছর আগে বিপলুকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিই। আর ৫০ হাজার টাকা বাকি থাকে। টাকা নেয়ার পর বিপলু আমাকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা না করে নানা অজুহাতে একের পর এক কালক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাদের পরিবার থেকে তাকে চাপাচাপি করতে থাকলে বিপলু আমাকে ওমান পাঠানোর জন্য চলতি বছরে ২৯ আগষ্ট বাড়ী থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পাঠানোর চেষ্টা করে। আমি সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ীতে চলে আসি।
    এলাকার একাধিক ব্যাক্তির সাথে বলে জানা যায়,বিপলু ওমানে বেশ কয়েক বছর থাকার বাড়ী ফিরে আসে এবং এলাকার বেকার লোকদের বিদেশ পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়ে পরে আর পাঠাতে পারে না। আবার লোকজনকে টাকাও ফেরত দেয় না। একই অবস্থা
    মাবুদের বেলায়ও হয়েছে।
    একই গ্রামের মিলন ও মামুন বলেন,বিপলু দেড়- দু” বছর বিদেশ খাটার পর গ্রামে এসে মানব পাচারের ব্যবসা শুরু করে।
    তার ফাঁদে পড়ে মাবুদ। মাবুদকে বিদেশ পাঠানোর নামে তার নিকট থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিপলু তাকে আকাশ পথে ওমান পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে জঙ্গল পথে পাঠানোর চে্ষ্টা করে।
    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিপলু মোবাইল ফোনে বলেন,আমি এক সময় ওমানে ছিলাম। মাবুদ আমার গ্রামের ছেলে। তবে তার সাখে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তার নিকট থেকে কোন টাকা নিইনি। বিপলু সাংবাদিক পরিচয় বলেন,আপনি যা বলছেন তা রেকর্ড করছি। এসপি স্যার বলেছেন,তোমাকে কেউ কিছু বললে আমাকে বলবে তারপর আমি দেখব।
    এলাকাবাসির অভিযোগ বিপলু মানব পাচার সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য, সে কাউকে পরোয়ানা করে না।
    বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মহিদুল ইসলাম বলেন,বিপলু বিদেশ ছিল ঠিক। তবে মাবুদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারনা করেছে কি- না আমার জানা নেই।
    জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,-ঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ