• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে পন্যবাহী ট্রাক চলাচলে রাস্তার বেহাল দশা

      প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২৩ , ৭:১৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী:

    পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা সেতুর ওজন স্কেল ফাকি দিয়ে গভীর রাতে পটুয়াখালী শহর থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কটি দিয়ে চলাচল করে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন। এতে সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই ভাঙা এ সড়কে মালবাহী ট্রাক আটকে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। তখন দুর্ভোগে পড়েন এ সড়কে চলাচল করা পথচারী ও যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ এলাকা থেকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা হয়ে বরগুনায় যাতায়াতের জন্য একটি সড়ক রয়েছে। এই সড়কটি ব্যবহার করলে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা-লেবুখালী সেতু পার হতে হয় না। পাশাপাশি মির্জাগঞ্জ উপজেলা থেকে পায়রা নদীর পায়রাকুঞ্জ-মনোহরখালী এলাকা দিয়ে ফেরি পার হয়ে পটুয়াখালী শহরে প্রবেশ করা যায়। এ কারণে পায়রা লেবুখালী সেতুর ওজনস্কেল এড়িয়ে বাকেরগঞ্জ-মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালীর এই সড়কটি ব্যবহার হচ্ছে।

    এদিকে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে মির্জাগঞ্জের সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারাসহ আশপাশের থানার জনসাধারণ। কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও এর কোনো প্রতিকার মিলছে না। এদিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বরকর সিদ্দিকী বিষয়টি জেনে বলেন, ‘সড়কটি গত বছরও সংস্কার করা হয়েছে। এরপরও ভারী যানবাহন চলাচল করায় এ বছর আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়কটিতে এমন ভোগান্তি আমাদের ব্যথিত করে রেখেছে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে অচিরেই মুক্তি চাই। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।

    রাতের আঁধারে এসব যানবাহন চলাচল করছে। তবে সড়ক বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এ বিষয়ে একটু কড়া নজর দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কাজের তদারকি ও মান রক্ষা করার অনুরোধ করছেন চেয়ারম্যান।
    বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের টিআই (অ্যাডমিন) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন কাজল জানান,চৌরাস্তায় আগত ‘প্রতিটি যানবাহন কী পরিমাণ পণ্য পরিবহন করতে পারবে তার যানবাহনের চাকার ওপর নির্ভর করে। একটা গাড়ির একটা এক্সেলের জন্য ১০ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করতে পারবে। তবে ফিডার রোডগুলোতে হাই লোডেড গাড়িগুলো চলাচল করার কথা নয়। এরপরও গভীর রাতে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। দিনের বেলায় এবং রাত ১১টা পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি নজরদারিতে রাখছে।

    কোনো অবস্থাতেই এই সড়ক দিয়ে যাতে অধিক লোডের গাড়ি চলাচল করতে না পারে সেজন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরী। এ ব্যপারে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বিষয়টি শুনে বলেন, ‘সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখতে এরই মধ্যে বিভাগীয়ভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো সড়কটি সংস্কারে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। রাতে এই সড়কটি দিয়ে অধিক লোডের যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি কীভাবে যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করা যায় বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ