• রাজশাহী বিভাগ

    নওগাঁয় পাপোশ বানিয়ে ওরা স্বাবলম্বী

      প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ১২:২৮:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টারঃ
    নওগাঁয় পাপোশ বানিয়ে ওরা স্বাবলম্বী। মাত্র ৩/৪ বছরেই তাদের সংসারে ফিরেছে শুখ।
    সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষের মতোই এক সময় শুধু কৃষি শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারাও। বছরের ৬-৭ মাস কাজ না থাকায় অন্যদের মতোই বাড়িতে অবসর সময় কাটত তাদের অনেকটায় কষ্টে। তবে গত ৩-৪ বছরে পাল্টে গেছে তাদের সংসার জীবনের চিত্র। সংসারের অন্যান্য কাজ সেরে এখন তারা সারা বছরই পাপোশ বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন।
    এতে সংসারে তাদের ফিরেছে সচ্ছলতা। এখন এই পাপোশ বানানোর কাজই হয়ে উঠেছে এক সময় দিনমজুরী দেওয়া অভাবি এনারীদের জীবিকার অবলম্বন।
    নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার স্বরুপপুর, জোয়ানপুর, মগলিসপুর, এনায়েতপুর, ঋষিপাড়া ও পত্নীতলা উপজেলার হাসানবেগপুর, দক্ষিণ কাশপুরসহ বেশ কিছু গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীরা এখন পাপোশ বানাতেই ব্যাস্ত।
    মাত্র ৪ বছর আগে মহাদেবপুর উপজেলার ১০-১২ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারী পল্লী সহযোগী বিষয়ক সংস্থা (আরকো) নামের স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্পে পাপোশ তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজ বাড়িতে পাপোশ তৈরী শুরু করেন। পরে প্রশিক্ষণ পাওয়া ওইসব নারীর কাছ থেকে কাজ শিখে আরো অনেক নারী পাপোশ বানিয়ে নিজেদের ভাগ্য বদলেছেন। আরকো বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা হেকস-ইপারের সহায়তা নিয়ে দলিত-আদিবাসী রাইটস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড একসেস টুয়ার্ডস মেইস্ট্রিম-ড্রিম প্রকল্পের আওতায় মহাদেবপুর, পত্নীতলা ও বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলায় ২০১৮ ইং সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত নারী পাপোশ তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। ড্রিম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রদেশ ভট্টাচার্য জানান, ড্রিম প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ পাওয়া ৬৫ নারীর কাছ থেকে কাজ শিখে বর্তমানে মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাপোশ তৈরির কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন প্রায় এক হাজার নারী।
    নিজেদের পরিশ্রমের উপার্জিত অর্থে বদলে গেছে তাদের জীবনমান, তাদের সংসারে ফিরেছে হাঁসি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ