• আইন ও আদালত

    কুকুটিয়ায় মসজিদে জমি না দিয়েও মনগড়া সভাপতি দাবী করে মুসল্লিদের বের করে দেয়ার অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১১:৫৪:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    এমএ কাইয়ুম-শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

    মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মসজিদে জমি না দিয়েও মনগড়া সভাপতি দাবী করে ২ জনকে মাধর করে অন্যান্য নামাজ পড়তে না দিয়ে অন্যান্য মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবুল মোল্লা গংদের বিরুদ্ধে।গত শুক্রবার(১৮ ফ্রেব্রুয়ারী) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঝুলদি জামে মসজিদের এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপাারে আহতদের পক্ষ থেকে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ঝুলদি জামে মসজিদ সভাপতি আব্দুল মান্নান শেখ এক বছর আগে মৃত্যূ বরণ করেন। কয়েক মাসপর একই এলাকার মিজান ও আনোয়ার মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। গত ৩ মাস আগে মসজিদের মোতয়াল্লী আব্দুল মান্নান হাওলাদার সভাপতি হিসেবে হাশেম হাওলাদারের নাম প্রস্তাব করেন। এর কিছুদিন পর হাশেম হাওলাদার বলেন আমার বিনা অনুমতি সভাপতি হিসেবে আমার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে এ সভাপতি হওয়ার কোন ইচ্ছেই আমার নেই। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন জুম্মা নামাজের পূর্বে মসজিদের ভিতরে মোতয়াল্লী আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তার ছেলে মজিবর হাওলাদার নুরু হাওলাদার ,

    জলিল মোল্লা ও তার ছেলে বাবুল মোল্লা, আলামিন মোল্লা, ওয়াসিম মোল্লা, আতোয়ার মোল্লাগং অন্য কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে বাবুল মোল্লাকে সভাপতি ঘোষনা করেন। এসময় মৃত আইয়ুব মোল্লা ছেলে সেলিম মোল্লা প্রতিবাদ করায় মোতয়াল্লী আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও জলিল মোল্লাগং তাকে এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে। সেলিমকে রক্ষা করার জন্য সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে সান এগিয়ে আসলে তাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে এবং মোতয়াল্লী আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও জলিল মোল্লাগং তাদেরসহ অন্যান্য মুসল্লিদের জুম্মার নামাজ পড়তে না দিয়ে সকলকেই মসজিদ থেকে বের করে দেয়।

    এই নিয়ে ঐ এলাকায় বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাওলাদার পরিবারগং মসজিদের জায়গা বিগত ৫০ বছর আগে দান করেন বলে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা। এই মসজিদ আমার বলে দাবি করেন মোতয়াল্লী আব্দুল মান্নান হাওলাদার। ঘটনাস্থলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন মসজিদের জমির পরিমান ২৮ শতাংশ। সাবেক সভাপতি মৃত মহন হাওলাদার দান করেন ৭ শতাংশ, মৃত কাদির হাওলাদার ১৪ শতাংশ, মৃত রোশন হাওলাদার ৭ শতাংশ, মোতয়াল্লী আব্দুল মান্নান হাওলাদার ৭ শতাংশ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি কোন জায়গা দান করেনি বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা ।

    ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত সভাপতি বাবুল মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন আমার বাবার সামনে আছি কথা বলতে পারবো না। আপনারা আমার বাড়ীতে আসেন বলে ফোন কেটে দেন। শ্রীনগর থানার এসআই মিরাজ বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বাদীর সাথে কথা বলেছি। আইনানুয়াযী ব্যবস্থা নিচ্ছি।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ