• আইন ও আদালত

    SAM Agro কৃষকের কাছে একটি আতংকের নাম

      প্রতিনিধি ২০ মে ২০২২ , ৯:২৭:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহআলম-ক্রাইম রিপোর্টার:

    SAM Agro কীটনাশক প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত এই কোম্পানি দেশের কৃষক সমাজের কাছে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম, কারণ এর যাবতীয় কীটনাশক, আগাছানাশক, পচনরোধক প্রায় সকল পন্যই মানহীন ভাবে তৈরি। আর এর মুল উদ্দেশ্য হলো কৃষকের সাথে প্রতারনা, মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি সহ দোকানদারদের কাছ হতে ব্লাংক চেক জালিয়াতির প্রমান পাওয়া যায়। প্রতিষ্টানটির এমডির সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিনিধীকে জানান টাকা না দেওয়ার কারনে উকিল নোটিশ সহ মেসার্স নুর ট্রেডার্সের মালিক নুর ইসলামের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি ও ঢাকায় মামলা দায়ের।

    বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পোরশা উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের বোরাম মোড়ে গেলে উপস্থিত ২৫/৩০ জন কৃষক জানায় SAM কোম্পানির আগাছানাশক (অরনেট) ব্যাবহার করে আমরা চারগুন ক্ষতির মধ্যে পড়ে গেছি। কারন হিসাবে তারা জানায় অরনেটের ফলাফল শুন্য সেই সাথে ধানগাছের পাতা লাল হয়ে মরে যেতে শুরু হলে আমরা দিশেহারা হয়ে যে যার মত খরচ করে কোন ভাবে ফসল তুলতে পেরেছি। মুলত এখানকার কৃষক বাকিতে সার কীটনাশক হতে শুরু করে সব কিছুই বাকিতে নিয়ে ফসল তোলার পরে দোকানদারের হালখাতার মাধ্যমে তা পরিশোধ করে থাকে।

    সেই সময়ে ঘটনাস্থলে কৃষক মামুন,০১৭২৯৬৭৪৬৩১, সাহেব আলী,মোবাঃ ০১৭৯৩৯৬১৮৪৪, আজিজারঃ ০১৭০৭৯১১৮৯৬ এবং কৃষক আঃ করিম ০১৭১২১৯৯৪৪০ ছাড়াও সালাম, ডাঃ শাহজাহান, হাসান, সোবহান, সেলিম, ময়নুল, আনোয়ার, আফজাল,রাব্বানি, কামরুজ্জামান সহ অনেকে একই কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ম্যাটেরিয়াল দ্বারা প্রস্তুত হলেও সঠিক ভাবে তা ব্যবহার না করার ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে কৃষকের পকেট কাটার কাজ শুরু করে তুলনামূলক সর্বপ্রথম চাহিদা জমিতে ঘাস না হয়।

    তার জন্য এই কোম্পানির একটি পণ্য অরনেট রংপুর তারাগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে তৎকালীন সময়ে দেশের প্রথম সারির পত্রিকা প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি খবরে প্রমাণ হয় যে,কোন মেটিরিয়ালস সঠিক ভাবে পণ্যটিতে ব্যাবহার না করেই বাজারজাত শুরু করে SAM Agro যার ফলাফল জমিতে প্রচুর পরিমাণে আগাছা জন্ম যেখানে প্রতি বিঘা ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই প্রতি বিঘা জমিতে আগাছা দমন করা সম্ভব(৩৩ শতাংশ)= এক বিঘা সেখানে কৃষকের বাড়তি খরচ প্রায় চার হতে পাঁচ হাজার টাকা। শুধু তাই নয় ব্লাংক চেকের অপব্যবহার।

    কোম্পানীর নির্ধারিত প্রতিনিধি ভাষ্যমতে পোরশা উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের বোরাম মোড়ের মেসার্স নুর ট্রেডার্স এর কাছ থেকে ০২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা কোম্পানি পাওনাদার কিন্তু ওই কোম্পানির নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার হাফিজুলকে দেওয়া ০১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পরিশোধের রিসিপ্ট ও কল রেকর্ড সংরক্ষিত। এমডি তিন লক্ষাধিক টাকার মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যাঙ্গাত্বক ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা বলেন। তার কল (রেকর্ড সংরক্ষিত) এখানে একটি দেশে বাস করে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আবোল তাবোল কথা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল তাই প্রশাষনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে SAM Agro কোম্পানির এমডিকে দেশে প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ