• চট্টগ্রাম বিভাগ

    পূর্বদইর প্রশাসনের আর্দেশ অমান্য করে ফসলি জমিতে পানি

      প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১০:২৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    বাঙ্গরা বাজার থানার ৫নং পূর্বদইর পশ্চিম ইউনিয়নের মহেশপুর উত্তর বিলে প্রশাসনের আর্দেশকে অমান্য করে ফসলি জমিতে ডিপ টিউবল দিয়ে পানি দিতে বাধা দেন স্থানীয় কিছু লোক। আঃ রহিম সরকার বর্তমান ও তিন বারের সফল মেম্বার ১৯৯২ সাল থেকে ডিপ টিউবলের মাধ্যমে প্রায় ২০০ বিঘা ধান ফসলের জমিতে পানি দিয়ে আসতেছে, বিগত বছর মেম্বারী নির্বাচনের জের ধরে খোরশেদ আলম (৫৫) পিতা মৃত নওয়াব ও মোঃ দেলোয়ার (৪০) পিতা হারুন-অর-রশিদ নামের স্থানীয় দুই ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেরা সেলু মেশিন বসায় যার কোনো অনুমোদন নাই, প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে ডিপ টিউবওব দিয়ে পানি দিতে ডেন করতে দিচ্ছিলেন না।

    এ বিষয়ে মুরাদনগরে কর্মরত ইউএনও জনাব আলাউদ্দিন জনিকে জানালে তিনি বাঙ্গরা বাজার থানার কর্মরত অফিসার ইনচার্জ জনাব রিয়াজ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে সরজমিনে গিয়ে ড্রেন করার অনুমতি দিয়ে আসেন কিন্তু সেই ড্রেন দিয়ে বর্তমানে পানি চলাচল করতে বাধা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মেম্বার সাহেব।

    এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত নির্বাচনীয় পূর্ব শত্রুতার কারণে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে
    আমরা তার সুষ্ঠু সমাধান চাই এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা কর্মরত অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন বলেন ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে আমি গিয়েছি প্রয়োজন হলে উনার নির্দেশে পুনরায় সরোজমিনে যাব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    আরও খবর: চট্টগ্রাম বিভাগ

    মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলনের আলোচনা সভা

    মুরাদনগরে ৫৬ কেজি গাঁজা দেশীয় অস্ত্রসহ ৭জন গ্রেপ্তার

    প্রধানমন্ত্রী ঘর পাবে ভূমিহীন ১৭৯০ টি পরিবার

    দেবীদ্বার পৌর মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    লক্ষ্মীপুরের আ.লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার শোক

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’