• আইন ও আদালত

    নোয়াখালীতে দূর্নীতির অপরাধে মামলার মুখোমুখি দুদক ও পিবিআই

      প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:১৪:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    জুনায়েদ কামাল-নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতে ২৪ বছর যাবত চাকরি করেন আলমগীর হোসেন । নাজির আলমগীরের দাবি, দুদকের করা এক মামলার কারণে স্বাক্ষর বিহীন এক নোটিশ দিয়ে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন জেলার দুদকের তিন কর্মকর্তা। ঘুষ দাবির কারণে মামলা করেন আলমগীর হোসেন। মামলাতে দুদকের কর্মকর্তাদের ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

    আলমগীর হোসেন বলেন- দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম, এডি মশিউর রহমান, সুবেল আহমেদ, তাদের সহকর্মী মেসবাহ এবং সারোয়ার-এর মাধ্যমে একটি স্বাক্ষর বিহীন চিঠি দিয়ে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। তাদেরকে ঘুষ না দিয়ে আমি আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি সিআর মামলা দায়ের করি। ঐ মামলায় তাদের নাম থাকায় তারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২১ ধারার ৯/ক২ এই দুইটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেন।

    বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতেন বলে দুদকের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে, আলমগীর হোসেনের হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল পূর্বানিতে অবস্থানে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এপেক্স ক্লাবের সদস্য হওয়ায় ক্লাবের নিজস্ব তহবিলের খরচে অস্ট্রেলিয়ার আমন্ত্রণে যান আলমগীর হোসেন। মূলত পাওয়ার অফ এ্যাটর্নির দলিলের গ্রহীতা বিজন ভৌমিক। আলমগীর উক্ত পাওয়ার অফ এ্যাটর্নির একজন স্বাক্ষী। সেই দলিলের ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আলমগীরের সম্পদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

    আলমগীরের আইনজীবী হারুনুর রশিদ বলেন- আমার ক্লাইন্ট, উনি দাতাও না, গ্রহীতাও না। উনি পাওয়ার অফ এটার্নির একজন স্বাক্ষী। মূলত জনৈক বিজন ভৌমিক পাওয়ার অফ এটার্নির গ্রহীতা। সাড়ে সাত কোটি টাকার এলিগেশন দিয়ে আমার ক্লাইন্ট-এর বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগ এনে যুক্ত করেছে। যা বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমি মনে করছি। অন্য দিকে দুদক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সভাব চরিত্র ভালো নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছেন মশিউরের নিজ জেলা শেরপুর সদর থানার পুলিশ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ