মামার কাছে ভাগনী ধর্ষন, ধর্ষক মামা গ্রেপ্তার।

দিনাজপুর জেলা ঘোড়াঘাট উপজেলায় মংলিশপুর পূর্বপাড়ায় চার বছরের শিশু ভাগ্নিকে ধর্ষণ করল আপন মামা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার মংলিশপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের লাল মিয়া( ৫০) তার আপন ভাগ্নিকে যৌন নির্যাতন করেছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা সিংড়া ইউনিয়ন বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এর নিবাসী চান মিয়া তার চার বছরের শিশু সন্তানকে নানার বাড়ি একই ইউনিয়নের মংলিশপুর পূর্ব পাড়া গ্রামে রেখে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় যান।
এ সময় চার বছরের শিশুকন্যাটি নানির বাড়িতে থকে।।শিশুটি সরিষার জমিতে গেলে ধর্ষক লাল মিয়া তাকে কোলে তুলে নিয়ে বিভিন্নভাবে আদরের ছলে তাকে যৌন হয়রানি করে।
বাচ্চাটি কান্নাকাটি চিৎকার করলে লাল মিয়া শিশুটিকে চড়-থাপ্পড় মারে। এরপরে বাচ্চাটি আরো চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে বাচ্চাটিকে ছেড়ে দেয়।
শিশু বাচ্চাটি তার নানীর কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করলে নানি জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে?
শিশু বাচ্চাটি নানি কে বলে মামার কথা এবং নিচের দিকে ব্যথা করতেছে বলে জানায় নানি নিচের দিকে লক্ষ্য করে দেখ যে, রক্তাত্ত অবস্থা। এমত অবস্থায় নানির চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষক লালমিয়া কে মারপিট করে জিজ্ঞাসা করিলেন ধর্ষক লাল মিয়া বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে।
এমত অবস্থায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ প্রশাসনে খবর দিলে, ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আজিমউদ্দিন সসাহেব তার ফোর্স প্রেরণ করে ধর্ষক লাল মেয়েকে গ্রেপ্তার করেন। এবং শিশুটির পরনের রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে থানায় জব্দ করেন এবং ধর্ষককে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোজ খবর জান্তে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার নুরুন নেওয়াজ আহমেদ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন যে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাটিকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শিশুটির চাচা মোঃ মীর হোসেন বাদি হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন।