• Uncategorized

    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় কুখ্যাত বাবুর নামে ১০টি মামলা

      প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:১৫:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় কুখ্যাত বাবুর নামে ১০টি মামলা দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় খোদাদপুর  কলোনির সাবুখানের পুত্র বাবু খান।ওরফে ইফতেখার আহম্মেদ বাবু। কথিত  এমপি সাহেবের অ্যাম্বাসিডর বা এমপি সাহেবের মুখপাত্র।  ঘটনা সুত্রে জানা যায়,

    ইফতেখার আহম্মেদ বাবু  ওরফে বার্লি বাবু। বিভিন্ন সময় নিজেকে সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, এমপির অ্যাম্বাসেডর, যুবলীগের নেতা সহ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে নিজের পরিচয় দিতে থাকেন। এবং গোপনে স্থানীয় বিভিন্ন জমি দখল বিভিন্ন লোক জনকে  হুমকি এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকে।

    তারই এক পর্যায়ে তার নামে ঘোড়াঘাট থানায়  মোট নয়টি মামলা রুযু হয়। এবং তার নিজ বাড়িতে রাখা প্রাইভেট কার যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে প্রমাণিত হয়এবং শেষ পর্যন্ত তার গাড়িটি চোরাই বলে প্রমাণিত হয়। সেইসঙ্গে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর নামে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির সংবাদ ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে

    তারই সূত্র ধরে পুলিশ নিরাপত্তা আইন এবং ভূমি দখল বিভিন্ন জনকে হুমকি বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ সহ জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা বাবুর নামে থানায় রুযু হইলে তাকে গ্রেপ্তার করে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে।বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ভুক্তভোগী এই কুখ্যাত বাবু  নামে বিভিন্ন মামলা দায়ের করছেন। বর্তমানে জানা যায়,

    বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান তার বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং ১০।এই নিয়ে বাবুর নামে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা হয় মোট ১০টি।

    ঘটনার সূত্রে জানা যায়,বাবু নিজেকে একজন ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে ঘোড়াঘাট হইতে ভাদুরিয়া পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের জন্য আটটি ট্রাকটর বা মেসি ভাড়া গ্রহণ  করে এক মাসের জন্য। মোট ৩ লক্ষ ৬০  হাজার  টাকা ভারা একমাসের জন্য ঠিক হলে এরমধ্যে ২ লক্ষ ৮৬হাজার ৫০০ টাকা আব্দুর রহমান কে মেসির ভাড়া বাবদ পরিশোধ করেন।

    বাকি ৭৭ হাজার টাকা ১৫ দিন পরে পরিশোধ করবেন মর্মে ওয়াদা করেন।১৫ দিন পার হয়ে গেলেও বাকি টাকা না পেয়ে আব্দুর রহমান বাবুর বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য ধরনা দেয়

    কিন্তু বাবু টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আব্দুর রহমানকে নানান প্রকারের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন এবং বলেন আমি এই ঘোড়াঘাট এলাকার নেতা, আমার নিকট সামান্য ৭৭ হাজার টাকা সাহস  তোমার কোথা থেকে  হলো?আমি ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় তোমার মত আব্দুর রহমানকে বা তোমার মেসি গুলিকে তছনছ করে দিতে পারি।

    সেই মুহূর্তে আব্দুর রহমান ভয়ে বিরামপুরে চলে যান কিন্তু বাবুর  গ্রেফতারের খবর শুনে বুঝতে পারেন বাবু মূলত একজন ভন্ড প্রতারক। সেই আব্দুর রহমান ঘোড়াঘাট থানায় উপস্থিত হয়ে  এই বাবুর নামে আত্মসাৎ ও হুমকির বর্ণনা দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

    এভাবে অনেক অসহায় মানুষ যারা বাবুর প্রতারণায় ভয়ে নীরব ছিল, এখন তারা থানায় এসে একের পরে এক বাবুর সেই প্রতারণা ও হুমকি-ধমকির কথা খুলে বলছেন।

    এই বাবু এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক কে বলেছেন আমি সেনাসদস্য অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দেইনি যেকোনো সময় আমি তোমাকে দেখে নেব।  আমার হাত পা আমার অস্ত্র। এই হুমকিতে অনেকেই ভয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়নি, এখন সেই সমস্ত ভুক্তভোগীরা বাবুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ