• Uncategorized

    ২৪ বছর আগের মৃত ব্যাক্তিকে দিয়ে জমি রেজিষ্ট্রীর অভিযোগ, বিচার দাবি ভুক্তভোগী সন্তানের

      প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১১:০৪:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নওগাঁর পত্নীতলা এস আর ( সাব-রেজিষ্ট্রী) অফিসের এক দলিল লেখক মৃত ব্যাক্তিকে জিবিত দেখিয়ে জমি রেজিষ্ট্রী করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উক্ত দলিল লেখক নজিপুর সদর হরিরাম পুরের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে ফয়জুল হক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত দলিলের দাতা শ্রী সুব্রত কুমার দাস ২৫৮১/২০১৯ নাম্বার দলিলে ২২-০৫-২০১৯ তারিখে গ্রহিতা সুরাইয়া বানু পিতা জহির উদ্দিন, মাতা মোরশেদা, গ্রামঃচক গোবিন্দ, ইউনিয়নঃ কৃষ্ণপুর, পত্নীতলা জেলাঃ নওগাঁকে আরএস খতিয়ান ৬৪, এসএ দাগ-১৫৯, আরএস দাগ- ৫৪২ ধানি ৪১ শতাংশের মধ্যে সোয়া ০৯ শতাংশ জমির মুল্য ৭০,০০০=/ টাকা মুল্যে দুইজন সাক্ষীর সাক্ষর ও একজন সেনাক্তকারীর নাম পাওয়া যায়। সাক্ষী হিসাবে প্রথম আঃ সালাম পিতা মৃত রহিম, মাতা ছামেনা গ্রামঃ কৃষ্ণরামপুর, অপর সাক্ষী আঃ আলিম পিতা মৃত কাশেম, মাতাঃ হাওয়া,গ্রামঃ নেপালপুর উপজেলাঃ পত্নীতলা জেলাঃ নওগাঁ। সনাক্তকারী নাম হিসাবে মনছের আলী, পিতা মৃতঃ ইমাম বক্স, মাতা আলমন বিবি, গ্রামঃ চকগোবিন্দ, পত্নীতলা নওগাঁ। সহ জমি রেজিষ্ট্রী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলি পুরন করে দেওয়া হয়েছে। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ কালে জানা যায় শ্রী সুব্রত কুমার দাস ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসের কোন একদিন হঠাৎ করে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের সাত দিন পর বস্তাবন্দি অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে পত্নীতলা থানা পুলিশ। পরে পরনের হাফ সোয়েটার ও লুঙ্গী দেখে লাশ সনাক্ত করে নিহত সুব্রতের স্ত্রী শ্রমতি বাসনা রানি দাস। ঐদিন শ্রীমতি বাসনা রানি দাস নিজে বাদি হয়ে চারজন নামিয় ও অজ্ঞাত নামা আসামির নাম দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দির্ঘ্যদিন মামলা চলার পরে বিজ্ঞ আদালত শামসুল, আঃ খালেক, আজাহারদের কোন প্রকার সাজা না দিয়েই খালাস দেন এবং বাকি এক আসামি বাবুল হোসেনকে পলাতক হিসাবে সন্দেহাতীত ভাবে মৃত্যদন্ড সাজা প্রদান করেন।যদিও আসামি বাবুল হোসেন রায়ের বিরোদ্ধে আপিল করে উক্ত মামলা হতে অব্যহতি পায়। মামলাটি শেষ হতে যদিও চার বছর সময় লাগে কিন্তু মৃত সুব্রত কুমার দাসের একমাত্র পুত্র সন্তান শ্রী ফেকা সহ কিছু স্থানীয় জনগনের দেওয়া তথ্য উপাত্ত দিয়ে আমাদের প্রতিনিধিকে সহায়তা করে। ভুক্তভোগীর দাবি ২৪ বছর আগের মৃত ব্যক্তি কিভাবে জমি রেজিষ্ট্রী প্রদান করে। এই কাজে সংশ্লিষ্ট সাব- রেজিষ্টার, দলিল লেখক ফয়জুল, সাক্ষি ও সনাক্তকারী সবাই অবৈধ ভাবে টাকার বিনিময়ে মৃতকে জিবিত বানিয়ে আমার জমি ভোগ দখল করতেছে। সে আক্ষেপের সুরেই বলে যেখানে দাতা গ্রহিতার উপস্থিতিতেই জমি রেজিষ্ট্রী করা হয় সেখানে কিভাবে একটু টাকার বিনিময়ে এতবড় অন্যায় করা হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা ও উক্ত কাজে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সেই সাথে জমির প্রকৃত মালিককে যথাযথ প্রমান সাপেক্ষে ফিরিয়ে পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ