বরিশাল হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের খাগেরচর গ্রামে ছয় মাস পুর্বে প্রবাসী মনির ঘরামীর স্ত্রীর রাহেলা বেগমের সাথে খাগেরচর বাজারের ঔষধ ব্যাবসায়ী মিলনের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ সারিরিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন, যা জানতে পারেন প্রবাসী মনির ঘরামীর বাবা আব্দুর রসিদ ঘরামী, তাই তিনি ছেলের বউয়ের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করেন মিলনকে,কিন্তু কোন ভাবেই সে উক্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেনি, তার পরেও সে গত ৩০ জানুয়ারী রাত প্রায় ১১ টার সময় পুত্র বধুর ঘরে আসেন।
এবং সরাসরি সারিরিক সম্পর্ক অবস্থায় দেখে ফেলেন পুত্র বধুর শশুর আব্দুর রসিদ ঘরামী, এর পর তিনি মরিচের গুড়া মিলনের চোখে মারেন,এর পর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মিলনকে হত্যা করেন।মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাকে মেঘনা নদীতে ফেলে দেন।এমনই বিবরণ দিয়েছেন হত্যাকারী রসিদ ঘরামী ও তার পুত্র বধু রাহেলা বেগম। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারী মিলনের বড় ভাই হিজলা থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। সেই প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ মিলনের মোবাইল ফোন জব্দ করে তার কল লিস্ট চেক করে এক পর্যায়ে জানতে পারেন সিমটি রেজিষ্ট্রেশন রসিদ ঘরামীর নামে, যা ব্যবহার করতো তারই পুত্র বধু রাহেলা বেগম,
দীর্ঘ দিন যাবত তাদেরকে নজরে রেখেছে থানা পুলিশ, এবং দীর্ঘ তদন্তের পর হিজলা থানার এস আই সোহাগ উভয়কে থানায় ডাকেন,এবং থানায় এসে তারা মিলন হত্যার ঘটনা খুলে বলেন। এ দিকে মিলনের বড় ভাই সবুজ ২৫ জুলাই উক্ত ২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউনুছ মিয়া জানায়, আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী ২ জনকে আটক করেছি, এই ঘটনার সাথে আরো যদি কেউ জড়িত থাকলে পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে তা বেড়িয়ে আসবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.