আবদুল্লাহ আনসারী-বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি:

মুলাদি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নুরুল হক হাওলাদার (৪২) পিতা কুব্বাত আলী হাওলাদার। ১১/৩/২০২৪ তারিখ রোজ সোমবার , রাতে হিজলা থানাধীন, চর মেমানিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত, গাফফার তালুকদারের ইটের ভাটা সংলগ্ন খালের গোড়ায় নিজের কাঠের ছুই বিশিষ্ট ট্রলার নিয়ে মাছ কেনার জন্য অপেক্ষায় ছিল । এক পর্যায়ে নুরুল হক (৪২) ঘুমিয়ে যায়, আনুমানিক রাত ১:০০ টা'র সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা ট্রলার নিয়ে এসে নুরুল হক (৪২) গ্রাফি দিয়া আটকানো ট্রলারটির দড়ি কেটে নিজেদের ট্রলারের সাথে বেধে নদীর মাঝেখানে নিয়া যেতে শুরু করলে ট্রলার চালানোর শব্দে নুরুল হক (৪২) এর ঘুম ভেঙ্গে গেলে, সে ডাক চিৎকার শুরু করে।

তখন পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের হাতে থাকা লোহার হাতুড়ি দিয়ে নুরুল হক (৪২) কে খুন করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে দুই হাতে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম করে ও তার সাথে থাকা নগদ- টাকা এবং উক্ত ট্রলারে থাকা খরিদকৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দুর্বৃত্তরা লুটপাট করে নিয়ে চলে যায় । এক পর্যায়ে নুরুল হক (৪২) পার্শ্ববর্তী মেঘনা ইট ভাটায় আশ্রয় নিলে উক্ত ভাটার আগুন মিস্ত্রি উদ্ধার করিয়া পরিবারের কাছে সংবাদ দিলে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়া নুরুল হক (৪২) কে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে ।
ভুক্তভোগী নুরুল হক (৪২) এর স্ত্রী, নাজমা (৪১) স্বামীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী মুলাদী থানায় ১। সালাম মুন্সী (৫৫), পিতা-মৃত-ইউসুফ মুন্সী, ২। রবিউল মুন্সী (২৩), পিতা- সালাম মুন্সী, ৩।

শাজাহান বেপারী (৫০), পিতা-বকশা বেপারী, সর্ব সাং-চরমেমানিয়া, ওয়ার্ড নং-০৮, থানাঃ হিজলা, জেলাঃ বরিশালসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন। এদের নামে একটি মামলা দায়ের করে । ভুক্তভোগী নুরুল হক এর স্ত্রী নাজমা (৪১) জানান আমার স্বামীর ব্যবসার উন্নতি দেখে ঈর্ষার বশবর্তী হইয়া বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি ও দিত মামলায় উল্লিখিত লোক গুলো । সবশেষে ভুক্তভোগী নুরুল হক (৪২) এর স্ত্রী নাজমা (৪১) জানান, আমার স্বামীর উপর অতর্কিত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি ।