ছাত্রজীবনে কবিতা ও ছড়া লেখার পাশাপাশি শখের বশে চিত্রাঙ্কন করে অবসর সময় কাটাতেন সোনাগাজীর হারুন হুজুর। পুরো নাম মাওলানা হারুনুর রশিদ। মধু সংগ্রহ ও হালুয়া তৈরী করা, বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফুড সংগ্রহ করে বিক্রি করেন মাওলানা হারুন হুজুর।
জানা যায়, তার পিতা নুরুল ইসলাম খুলনাতে চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে তিনি সেখান থেকে বাড়ীতে আসার সময় খাঁটি মধু সংগ্রহ করে মানুষের মাঝে স্বল্প দামে বিক্রি করতেন। তিনি চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পরও অনেকে তার কাছে খাঁটি মধুর জন্য আসতো। তাই জনসেবার লক্ষে হারুন হুজুর ২০০৭ সাল থেকে খাঁটি মধু সংগ্রহ করে তা ভোক্তাদের নিকট স্বল্প লাভে বিক্রয় করা শুরু করেন। এর পূর্বে তিনি মধু সংগ্রহ করার জন্য প্রশিক্ষণ নেন। দীর্ঘ এক যুগ মানবসেবার লক্ষে তিনি এমনটি করে চলেছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন কোথাও মৌমাছির বাসা দেখে হারুন হুজুরকে কল করলে তিনি স্ব শরীরে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করেন। এতে সংগ্রহ করা মধুর ৩ভাগের একভাগ তথ্যদাতা/গাছের মালিককে দিয়ে বাকী দুই ভাগ নিয়ে আসেন। এর মধ্যে যত ব্যয় সব বহন করেন তিনি।তিনি ২০১২সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্রগ্রাম বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ইমাম, ২০১৭ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ খামারী এবং মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়ে ছিলেন হারুন হুজুর।
বর্তমানে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন আওতাধীন সোনাপুরের ১৭টি কেন্দ্রের মডেল শিক্ষক, সোনাপুর মাদানিয়া জামে মসজিদের ইমাম, অনলাইন সাহিত্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।হারুন হুজুর বলেন- ছাত্রজীবনের জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন ঔষুধ নির্দেশিকার বই সংগ্রহ করে পরিমান মত দিয়ে কোনো রকম মেডিসিন ছাড়া জনসাধারণের উপকার হয় এমন কিছু তৈরী করতে চেষ্টা করতেন।
সর্বশেষ তিনি হানিনাট প্লাস নামের এক ধরনের হালুয়া তৈরীর সিদ্ধান্ত নেন। এই হালুয়া তৈরীতে মধু, বাদাম, ঘি, চেরী ফল, ত্রিফলা,খেজুর, সিলাজুত, তাল মিশ্রী, জামের বিচি, কালোজিরা, মেথী, ইসফগুল ও ভুসি, তুলশী, অর্জুন, তাল মাখনা, শিমুল মূল, অর্শগন্ধা,পুদিনা, এ্যালোভেরা, তেঁতুল, জৈষ্ট মধু, রূহ আফজা, আদা, রসুন, বাসক পাতা, সিরাসীড, কুমড়া বিচি, কালো কিসমিস, লবঙ্গ, জৈত্রিক, বাইশ মসলা, আদামনি, সজিনা পাতা, আলকুচি, কস্তুরী, হলুদ সহ প্রায় ৭০টি আইটেম ব্যবহার করেন।
প্রতিমাসে তিনি দুইবার তৈরী করেন। প্রতিবারে ১২-১৫ কেজি হয়। প্রতি কেজি হালুয়া বিক্রি করেন ১হাজার ২শত টাকা করে। এক কেজি, আধা কেজি এবং ২৫০ গ্রাম পরিমাণও বিক্রি করেন। এই হালুয়া সেবন করে ইতিমধ্যে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়দের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ কাজ করছে। তারা হারুন হুজুরের সফলতা কামনা করেছেন।
“হানিনাট প্লাস” হালুয়া সংগ্রহ করতে মাওলানা হারুনুর রশিদ, মোবাইল নং ০১৮১৫০৭৬৪৩৪ ভাই ভাই ইলেকট্রনিক, সোনাগাজী, ইলিয়াস ইলেকট্রনিক, সোনাগাজী, বিসমিল্লাহ স্টোর, আমতলা, সোনাপুর, মেহজাবিন স্টোর, সোনাপুর বাজারে যোগাযোগ করুন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.