• Uncategorized

    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হারানোর দিন: শোক হোক আজ স্বপ্ন পূরণের শক্তি-নুরুল আমিন রুহুল এমপি 

      প্রতিনিধি ১৯ আগস্ট ২০২০ , ১১:২৫:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো.তুহিন ফয়েজ:

    মতলব উত্তর উপজেলা  কৃষক লীগের উদ্যােগে শোক দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷

    বুধবার  (১৯ আগস্ট) সকালে মতলব উত্তর উপজেলার  ঢারী কান্দি দারুস সুন্নাত  দাখিল মাদরাসা মাঠ  প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘দোয়া ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথি চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল  বলেন –  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব, তাদের দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

    আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। যিনি দিয়ে গেছেন এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, লাল-সবুজ পতাকা, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

     

    যার ডাকে প্রশিক্ষিত হানাদারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলার মানুষ, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সেই বাঙালিকে হারানোর দিনটি ফিরে এলো শোকের আবহ নিয়ে। আজ থেকে ৪৫ বছর আগের এই রাতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ।

     

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী, উচ্ছৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেই শুধু হত্যা করেনি, তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে।

     

    ইতিহাসের জঘন্যতম সেই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুধু স্বাধীনতার স্থপতিকেই হারায়নি বাঙালি, দীর্ঘকালের শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় জীবনের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তাও উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে।

     

    স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার জেঁকে বসে এদেশের বুকে, যে স্বপ্ন-চেতনায় স্বাধীন হয়ে ছিল দেশ তাও হয় অবদমিত।

     

    “বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ অগাস্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।… এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল।

     

    “ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।”

     

    বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন, “আসুন, জাতীয় শোক দিবসে আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করি এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ করি।”

     

    তিনি আরোও  বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। মুজিববর্ষে জাতির পিতার আত্মত্যাগের মহিমা ও আদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।”

     

    বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি।… সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

     

    অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন  হাফেজ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম , গিতা পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাধেশ্যাম শাহা বাবু চান্দু ৷

     

    উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সালেহ মোঃ  খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক এর পরিচালনায় শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন – চাঁদপুর জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন,অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন-  মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লা প্রধান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন মাস্টার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান  মোঃ জহির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাধেশ্যাম শাহা (বাবু চান্দু), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, গজরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বপন, গজরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, বাগান বাড়ি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ইলিয়াছ মিয়াজী প্রমুখ।

    শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন,আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল  এমপির ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাড. লিয়াকত আলী সুমন, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, গজরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম আরমান, ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি এমরান হোসেন চৌধুরী রাজু, গজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওহেদুজ্জামান ওয়াদুদ, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরে আলম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আকাশ, ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস প্রধান, দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামাল লস্কর’ এখলাছপুর ইউপি যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ লিটন সরদার,যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন মুন্না, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কিবরিয়া যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ মাস্টার ,সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও  কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ ৷

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ