প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২২ , ২:২৫:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গেলেই গুরুবেজার। এমনি মন্তব্য করে লালমনির হাট কালিগঞ্জ থানায় কর্মরত অফিসার ইন চার্য (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন একজন ভালোমানুষের ছদ্দবেশী প্রতারক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারন অসহায় ভুক্তভোগী মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমি যদি কারো ঈর্ষার কারন হয়ে থাকি তাতে আমার কোন যায় আসে না।আমি সরকারের দেয়া এই চেয়ারের মর্যাদা রক্ষা ও জনগনের শান্তি রক্ষা করাই একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আমি জনগনের সেবক।জনগনের সেবা নিশ্চিত করাই আমার দায়িত্ব।সাংবাদিকতার মুখোশধারী একজন সন্ত্রাসী,গ্যাং র্যাফের আসামী চাঁদাবাজ নূর আলমগীর অনুকে তার স্বীয় অপরাধের জন্য গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করাটা যদি আমার দোষ হয়ে থাকে তাহলে আমি দোষী।নূর আলমগীরের বিরুদ্ধে ৩১জুলাই আমেনা শিরিন মোস্তামীর করা চাঁদাবাজী মামলার সত্যতা প্রমানের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আর এই কাজটি করতে গিয়েই আমাকে পরতে হয়েছে কিছু স্বার্থান্বেশী ব্যক্তির রোষানলে।নূর আলমগীর সাংবাদিকতার লেবাস লাগিয়ে চাঁদাবাজি,সাধারন অসহায় মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় সহ মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনাসহ এমন কোন কাজ নেই যা তিনি করেন না।কালিগঞ্জ থানার সাধারন মানুষ তার অত্যাচারে জর্জরিত,নিপীড়িত নিষ্পেষিত।তাকে আইনের আওতায় নেওয়ায় অনেক মানুষ আজ পুলিশকে বাহবা দিয়েছেন,পুলিশের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন।
সমাজ সংস্কারের ধারক বা বাহক।সমাজে মুখোশধারী ব্যক্তিদের আসল চরিত্র ফুটিয় তোলাই সাংবাদিকদের দায়িত্ব।তাই বলে একজন মুখোশধারী সন্ত্রাসীব্যক্তির পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ বা বিক্ষোভ করা কখনোই সাংবাদিকদের শোভা পায় না।একজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে অসৎ কার্যে লিপ্ত থাকা সাংবাদিকের পক্ষ নেয়াটা সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশা ও গোটা সাংবাদিক সমাজকেই কলংকিত করে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে অসহায় নিপীড়িত মানুষ জানান, লালমনির হাট জেলার কালিগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে অত্র উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ি, সন্ত্রাস,চাাঁদাবাজদের কাছে এক আতঙ্কের নাম এটিএম গোলাম রসুল।
অত্র উপজেলা হতে মাদকের বড়বড় চালান সিন্ডিকেটের হোতাদের ধরে মামলা দিয়েছে।তিনি অত্র উপজেলা থেকে মাদককে সমুলে উৎপাটে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।ইতিমধ্যেই তিনি একাধিক মাদক মামলা রজু করে মাদক ব্যবসায়িদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়েছেন।ভালো কাজ করতে গেলে গুরুবেজার হবেন এটাই স্বাভাবিক।তবে ওসি গোলাম রসুল “পাছে লোকে কিছু বলে” এর তোয়াক্কা না করেই দেশ ও জনগনের স্বার্থে সামনেই দিকে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।