রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদেবপুর ইউপির আঘৈর মৎস্যজীবী সমিতির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তারা এলাকার সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জানা গেছে, তানোরের সীমান্তবর্তী নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদেবপুর ইউপির আঘৈর গ্রামে প্রায় ১০ বিঘা আয়তনের সরকারি খাস আঘৈরদিঘি রয়েছে। আঘৈর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। দিঘিতে টিকেট কেটে হুইল-বড়শী দিয়ে মাছ শিকারের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়।
এজন্য দিঘির চার পাশে ৩০টি চৌকি বসানো হয় ও প্রতিটি চৌকির টিকেটের দাম কুড়ি হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয় এবং ২০ আগস্ট শুক্রবার ও ২১ আগস্ট শনিবার মাছ শিকারের দিন নির্ধারণ করা হয়। সৌখিন মাছ শিকারীগণ বলেন, গত ২০ আগস্ট শুক্রবার বিভিন্ন এলাকার সৌখিন মৎস্য শিকারীরা মাছ শিকার করতে দিঘিতে হুইল-বড়শী ফেলেন। কিন্ত্ত কেউ বড় মাছ শিকার করতে পারেনি, এমনকি বেলে ও পুঁটি মাছ হুইলে উঠেছে, অন্য মাছের ওজন সর্বোচ্চ এক কেজি। বিশ হাজার টাকার টিকেট কেটে দুদিনে সর্বোচ্চ ৫শ' টাকার মাছ পেয়েছে। অথচ বলা হয়েছিল ৫ থেকে ১০ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে।
সৌখিন মাছ শিকারী রবিউল ইসলাম বলেন, মাছ ধরা বা না ধরা কোনো বিষয় না, কিন্ত্ত মাছের যে ওজন তাতে তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ৩ কেজি ওজনের একটি মাছও যদি কেউ শিকার করতে পারতেন তাহলেও বুঝতাম দিঘিতে বড় মাছ আছে। তিনি বলেন,এ ঘটনায় মৎস্য শিকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সমিতির লোকজন পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, এই দিঘিতে বড় মাছ নাই, তারা সৌখিন মাছ শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি বলেন, সৌখিন মৎস্য শিকারিরা শখের বসে বড় মাছ শিকার করতে টিকেট কেটেছেন,তবে মাছের সাইজ দেখে বোঝা গেছে এটা প্রতারণা।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.