এম মনিরুজ্জামান-পাবনা:

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে,যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার পাবনার সুজানগরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে, বিজয় র‌্যালি নিয়ে সুজানগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধে পুস্প অর্পণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত শেষে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় দিবসের র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব, পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাননান, জেলা পরিষদ সদস্য আহমেদ ফররুখ কবির বাবু, কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা আশিকুর রহমান খান সবুজ, হেলাল শিকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল জলিল বিশ্বাস,

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, আব্দুল হাই, মতিউর রহমান সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান জর্জ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ,সাধারণ সম্পাদক শেখ মিলন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি এম মনিরুজ্জামান, দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন,

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল,সাধারণ সম্পাদক শেখ তুষার,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সোহাগ,এন এ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেদোয়ান নয়ন সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও প্রেরণায় উজ্জীবিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের ও ২ লক্ষ ৬৯ হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে যারা লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাদের চেতনায় ছিল স্বাধীনতা,

হৃদয়ে ছিল বঙ্গবন্ধু ও কণ্ঠে ছিল জয় বাংলা। তাই প্রতিক্রিয়াশীলতা,উগ্রতা,মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ রুখতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো অবতীর্ণ হতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে পরিচিত না। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সহ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্মুখ ধারনা প্রদান করতে হবে।