• কৃষি

    সুজানগরে উৎপাদন খরচই উঠছে না পেঁয়াজ চাষীদের

      প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২২ , ৯:২৫:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    সুজানগরের হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি নতুন পেঁয়াজ। কিন্তু পেঁয়াজের বাজারদরে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজবাজারের এমন মন্দাভাবে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। উৎপাদন খরচই উঠবে না বলে জানিয়েছেন তারা। কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর মৌসুমি পেঁয়াজ ওঠার সময় বাজার বেশ মন্দা হয়। তবে কয়েক মাস পর তা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০০ হেক্টর বেশি জমিতে। ইতোমধ্যে উঁচু জমিতে আবাদ করা পেঁয়াজ উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া অনুকূল আবহাওয়া এবং জমিতে সঠিক সময়ে সার-কীটনাশক দেওয়ায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কিন্তু স্থানীয় হাট-বাজারে পেঁয়াজের বর্তমান দরে কৃষকেরা অত্যন্ত হতাশ।

    উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পেঁয়াজচাষি ওমর আলী প্রামাণিক বলেন, এখন হাট-বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা দরে। অথচ এ বছর সার, বীজ এবং শ্রমিকসহ প্রতি মণ পেঁয়াজের উৎপাদন খরচই হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, এখন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকের উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতি মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লোকসান হচ্ছে। এতে কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

    সুজানগর পৌর পেঁয়াজবাজারের আড়তদার আবুল কালাম বলেন, দেশের বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পেঁয়াজ আছে। সেই সঙ্গে হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি নতুন পেঁয়াজ। ফলে পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর মৌসুমি পেঁয়াজ ওঠার শুরুতে বাজার বেশ মন্দা হয়। তবে এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই মন্দাভাব কেটে যায়। তাই হতাশার কিছু নেই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ