• Uncategorized

    সিরাজদিখানে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ, মামলা করেও ঠাই হচ্ছেনা স্বামীর দেওয়া ভিটায়! 

      প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২১ , ৫:৩৩:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কর্তৃক এক গৃহবধূকে নানা ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী ননাশ ও তার ছেলে মেয়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ীতে গিয়ে ঠাই নিতে বাধ্য হয়েছেন ওই গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। নিযার্তিতা গৃহবধূ সেলিনা বেগম উপজেলার বাঐসার গ্রামের  করিম হাওলাদার মেয়ে এবং ইছাপুরা (চালতাতলা) গ্রামের মো. আলীর স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুমান ৯ বছর পূর্বে ইছাপুরা (চালতাতলা) গ্রামের মো. আলীর সাথে সেলিনা বেগম বিয়ে হয়। বিয়ের অনুমান ৩ বছর পর মো. আলীর পিতার ওয়ারিশ সূত্রে পাপ্ত ১৭ শতাংশ সম্পত্তি ছয় বোনকে বুঝিয়ে না দিয়ে স্ত্রী সেলিনা বেগমের নামে সাব-কবলা দলিল মূলে লিখে দেয়। এর কিছু দিন পর বোনদের ছয়জনই ভাবীকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কথা জানতে পারে। সেই থেকে ভাবীর প্রতি শুরু হয় তাদের নানা মূখী নির্যাতন। হঠাৎ বাড়ীতে এসে কখনো ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, কখনো মারধর, কখনো আবার বাড়ীর গাছ কর্তন ও টিউবওয়েল খুলে নিয়ে যাওয়াসহ নানা উপায়ে সেলিনাকে নিযার্তন করতে থাকে তারা। এমনকি একসময় বোনদের সাথে মিলে স্বামীও শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের অত্যাচার আর নির্যাতন সইতে না পেরে বিষয়টি সেলিনা তার পরিবার ও আত্নীয় স্বজনদের জানায়। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশে বসা হলে মো. আলীর বোনেরা তাদের ভাইকে সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে বলে। যেহেতু মো. আলী বেকার এবং তার দুইটি বাচ্চা আছে তাই তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার কথা অস্বীকার করে  সেলিনা। এর পর আর স্বামীর বাড়ীতে ঠাই হয়নি তার। দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সইতে না পেরে সম্প্রতি সেলিনা মুন্সীগঞ্জ আদালতে স্বামী,ননাশ ও তার দুই ছেলে মেয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলা করার পর বেশ কয়েকবার স্বামীর বাড়ী সন্তানদের নিয়ে উঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।  ভুক্তভোগী নির্যাতিতা  সেলিনা বেগম সাংবাদিকদের দারস্থ হয়ে বলেন, বিয়ের পর সম্ভবত এক বছরও স্বামীর বাড়ীতে থাকা হয়নি।  বাবার বাড়ীতে থাকতে হয়েছে তাদের নির্যাতনের কারণে। আমার বাবার বাড়ী থেকে অনেকবার টাকা পয়সা এনে স্বামীকে দিয়েছি কিন্তু সম্পত্তি বিক্রি করিনি ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তাদের ওই জায়গা ফিরিয়ে দেই নাই বলে আমাকে তারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছি। কোর্টে মামলা করেও তাদের ভয়ে স্বামীর বাড়ীতে যেতে পারি না। সব সময় ভয়ে থাকি কোন সময় যেন তারা আমার ক্ষতি করে বসে। তাই আমি আমার নিরাপত্তা এবং তাদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সেটা আপনাদের মাধ্যমে আমি চাই। এ ব্যাপারে সেলিনা বেগমের স্বামী অভিযুক্ত মো. আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। চেয়ারম্যান মেম্বাররা বিচার সালিশ ডাকলে তারা বসতে চায় না। গালাগালি মারধর করতে আসে। আপনি এলাকায় এসে জিজ্ঞেস করে দেখেন। ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওই ছেলেটাও খারাপ। আগে মেয়েটাকে অনেক জালাইছে। তাই বিচার সালিশে ডাকলে তারা আসে না। এর আগে এটা নিয়ে বহুবার বিচার সালিশ হইছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ