শিহাব আহম্মেদ-স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলা চলচ্চিত্রের ফ্যাশন আইকন সালমান শাহ’র জন্মদিন আজ। মৃত্যুর দুই দশক পেরিয়ে গেলেও আজও দর্শকের হৃদয়ের মণিকোঠায় তার নামটি উজ্জ্বল। ক্ষণজন্মা এই নায়ক মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্র ও বেশ কিছু নাটকের মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন। তিনি বেঁচে থাকলে আজ ৫২তম জন্মদিন পালন করতেন।

সালমান শাহের কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, স্টাইল কিংবা অভিনয়ে ছিল রুচিশীলতার ছাপ। আশির দশকে ধুকতে থাকা চলচ্চিত্র যেন তারই ছোঁয়ায় নতুন করে আবার প্রাণ ফিরে পায়। যিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নিজের সময়ের চেয়েও এগিয়ে থাকা একজন অভিনেতা ছিলেন; তিনি হলেন সালমান শাহ। শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ছিল তার আসল নাম।

সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে দাড়িয়া পাড়ার তার নানা বাড়ি আব এ হায়াত ভবনে, যা এখন সালমান শাহ্‌ ভবন হিসেবে পরিচিত। তার পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। তিনি পরিবারের বড় ছেলে।সালমান পড়াশোনা করেন খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ থেকে বিকম পাস করেন।

টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে সালমান শাহ তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তার প্রথম অভিনীত নাটক ‘পাথর সময়’ প্রচারিত হয় ১৯৯৩ সালে। সালমান শাহের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির নাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত'। সুপারহিট সে ছবির পর সালমানকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। চলচ্চিত্র অভিনয় জীবনের ক্যারিয়ারে তার সর্বমোট ছবির সংখ্যা ২৭।

সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ঢাকার ইস্কাটনে তার নিজ বাস ভবনে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার এই আকস্মিক মৃত্যু স্তব্ধ করে দেয় গোটা বাংলাদেশকে। আজও দেশের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রের বরপুত্রখ্যাত সালমান শাহ।

সালমান শাহ অভিনীত ছবির মধ্যে অন্যতম- কেয়ামত থেকে কেয়ামত, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বিচার হবে, তোমাকে চাই, তুমি আমার, অন্তরে অন্তরে, স্বপ্নের নায়ক, সুজন সখী, দেনমোহর, স্বপ্নের পৃথিবী, জীবন সংসার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়াসী, এই ঘর এই সংসার, আনন্দ অশ্রু ইত্যাদি।