• আমার দেশ

    সারাদেশে অঘোষিত রেলওয়ে শ্রমিক ধর্মঘট ভোগান্তিতে যাত্রীরা

      প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ১:৩১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    সাইফুল ইসলাম আকাশ-ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

    আজকে ভিবিন্ন স্থান থেকে ময়মনসিংহ শহরের ভিবিন্ন অফিস আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারিগণকে পরতে হয়েছে যাতায়াত ভোগান্তিতে। বেতন-ভাতা মাইলেজ সংক্রান্ত দাবি পূরণ না হওয়ায় সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছেন রেলের আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘট ডাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

    রেলওয়ের রানিং স্টাফ চালক-পরিচালকও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় চালকরা কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ট্রেনের লোকো মাস্টার ও রানিং স্টাফ কর্মচারীরাও কর্ম বিরতিতে গেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনি।

    এদিকে হঠাৎ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। পূর্বঘোষণা ছাড়াই ট্রেন চলাচল বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আগত যাত্রীরা।
    জানা গেছে, রেলওয়ের চাকা সচল রাখতে একজন চালককে দিনে গড়ে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা ট্রেন চালাতে হয়। এজন্য তাদের বাড়তি মজুরি ও পেনশনে ৭৫ শতাংশ টাকা দেয়া হয়। বেতনের বাইরেও যত মাইল দায়িত্ব পালন করেন এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করেন, তার জন্য নির্দিষ্ট হারে ভাতা পেয়ে থাকেন তারা।এটা রেলওয়ের ‘মাইলেজ ভাতা’ হিসেবে পরিচিত।

    সম্প্রতি রেলওয়ের অতিরিক্ত এ সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে ক্ষুব্ধ হন রেলওয়ে চালকরা। এর আগে আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার ঘোষণাও দেন। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, সার্বক্ষণিক হিসেবে আখ্যায়িত করে বৃটিশ আমল থেকে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা চালক, পরিচারক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত সময়ে প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে দেওয়া হয় মূল বেতনের একদিনের সমপরিমাণ টাকা। পেনশনের সঙ্গে দেওয়া হয় বাড়তি ৭৫ শতাংশ টাকা।
    এসব চালক ও পরিচালকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হতো রেলওয়ের স্বতন্ত্র কাঠামোয়।

    কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে সফটওয়্যার ‘আইবাস প্লাসের মাধ্যমে রেলওয়ের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের রানিং স্টাফ আগের সেই ‘মাইলেজ’ সুবিধা থাকছে না।
    অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত জানার পর মাইলেজ সুবিধা চালুর দাবিতে নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা করেন চালক, ট্রেন পরিচালক ও টিকিট চেকারেরা। তারা রেলমন্ত্রী, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক সভাও করেছেন ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ