• গণমাধ্যম

    সাপাহারে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি!

      প্রতিনিধি ২১ আগস্ট ২০২২ , ১:৪৪:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    নওগাঁর সাপাহারে মাদক সেবীর সংবাদ প্রকাশ করায় মনিরুল ইসলাম নামে এক গণমাধ্যম কর্মীকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
    সেই সাথে ফেসবুক থেকে সংবাদ ডিলিট করার জন্য কয়েক দফায় ফোনে হুমকি দেয় তারা। গণমাধ্যম কর্মী মনিরুল ইসলাম উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে, জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি ও সাপাহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

    সম্প্রতি মনিরুল ইসলামের ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “ব্ল্যাঙ্ক কলে সংবাদ হাইড করার জন্য হুমকি দাতারা কারা? আমি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এটাতে অন্যায় কোথায়? তবে মজার বিষয় হলো, যে নম্বর গুলো থেকে ফোন আসছে সেগুলো পরে দেখা যাচ্ছে না!এ আবার কোন প্রযুক্তিরে বাবা! “তিনি হুমকির ব্যাপারে আরো উল্লেখ করেন, “প্রাথমিক অবস্থায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান কে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন।

    পরবর্তীতে এমন হুমকি আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। যেদিন থেকে গণমাধ্যমে কাজ শুরু করেছি, সেদিন থেকে মৃত্যুকে কাঁধে নিয়ে ঘুরি” উল্লেখ্য যে, শনিবার দুপুরে ” ফেনসিডিল আনতে গিয়ে ধরা খেলেন যুবলীগ নেতা ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন মনিরুল। সেই সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার করেন। এরই জের ধরে কয়েক দফায় ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

    গণমাধ্যম কর্মী মনিরুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে সাপাহার উপজেলার যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান (সমাপন) ও তার সহযোগী রানা বিজিবির হাতে দুইটি ফেনসিডিল নিয়ে ধরা খাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করি। শুধু আমি নয় অনেক গণমাধ্যমকর্মী এই সংবাদ প্রকাশ করেন।

    ইতিমধ্যে সন্ধার পর বেশ কয়েকটা নতুন নতুন নম্বর থেকে ফোন আসে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ফেসবুক থেকে পোস্ট তুলে নিতে বলে। পোস্ট না তুললে প্রাণে মেরে ফেলবে মর্মে জানায় হুমকি দাতারা। পরে আমি বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করি। আমি হুমকিদাতাদের কন্ঠ চিনতে পারিনি। সম্ভবত তারা ভয়েস পরিবর্তন করে কথা বলছিলো।

    এছাড়াও যখন ফোন আসে তখন নম্বর দেখা যায়। ফোন কল কাটার পরে রিসিভ কলে নম্বর দেখা যায় না। দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদের ক্রাইম রিপোর্টার শাহ আলম ৯টা ৫৮ মিনিটে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে উক্ত বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি বিশেষ কাজে জেলা শহরে আছি। আমি ফিরে এসে ঘটনাটা ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রদান করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ