কাওছার হাবিব-স্টাফ রিপোর্টার:
মুসলিম উম্মাহর পশু জবেহ করে ত্যাগের মধ্যে দিয়ে পালিত পবিত্র ঈদুল আযহা। যা কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত মুসলিম উম্মাহর মাঝে। পবিত্র ঈদুল আযহার আরো বেশ কিছুদিন বাঁকি রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কিনছেন কোরবানির পশু। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা নওগাঁর সাপাহারেও কোরবানির প্রস্তুতির ঘাটতি নেই মুসলিমদের মধ্যে। সাধ্যানুযায়ী কোরবানি কিনছেন এলাকার লোকজন। এবারে কোরবানির জন্য এই উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে।
চলতি বছরে এই উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার পশু। যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের উপজেলাতেও বিক্রি করা যেতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গবাদি পশু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার খামারিরা তারা অতি যত্নে খামারে কোরবানির গবাদি পশু প্রস্তুত করে তুলছেন অধিক মুনাফার আশায়।
উপজেলার একাধিক খামারি জানান, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু পালনকারী বড়-ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ বেলায় পশুর পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলার ছাগল খামারি স্বপন বলেন, আমার বাড়ীতে দেশীয় জাতের ছাগল পালন করে আসছি। এবারে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ৬টি খাসি ও ৯টি ছাগল প্রস্তুত আছে। আমি এখনো বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাইনি। তবে প্রতিদিন ছাগলগুলোর পরিচর্যা করছি। আশা করি ভালো মুনাফা পাবো।
সাপাহার উপজেলা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়,এ বছরে কোরবানিযোগ্য মোট পশুর সংখ্যা ১৭ হাজার ২শ’ ৪২ টি। তার মধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ৬শ’ ২৩টি, বলদ ১ হাজার ৯শ’ ৭১টি, গাভী ৪ হাজার ৩শ’ ২১টি, ছাগল ৭ হাজার ২শ’ ৬৭ টি, ভেড়া ১ হাজার ৬০টি। এছাড়াও কিছু পশু বাইরের উপজেলায় বিক্রি হবে এবং বাইরের উপজেলার কিছু পশু এই উপজেলায় বিক্রি হবে। এ নিয়ে প্রায় ২০ হাজার পশু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পশু মোটাতাজা করণের জন্য প্রত্যেক খামারিকে বিশেষ ভাবে ঘাস চাষের জন্য বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে। কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলার প্রতিটি হাটে প্রাথমিক পশু চিকিৎসক প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়াও খামারীদের গবাদীপশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.