আলোকিত শিক্ষা ডেস্কঃ
সাত কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে মনে করার কিছু নাই। এর যুক্তি ও আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস আদিপর্ব (শিশির ভট্টাচার্য্য) বইতে এর গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কলেজ বা স্কুল বা প্রতিষ্ঠান এ উচ্চ শিক্ষা প্রদান করা হয় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় বলে।যেমন college de France বা যুক্তরাজ্যের london School of Economics এই গুলা নামেই স্কুল প্রকৃতপক্ষে এগুলা বিশ্ববিদ্যালয়।এছাড়াও একজন ছাত্র পরিচিত হবে তার হল বা কলেজের নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ গবেষনা, সনদ প্রদান/গবেষনা। প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেলোনিয়া ও প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল।
বর্তমান ক্যামব্রিজ/ অক্সফোর্ড এগুলা প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে। একজন ছাত্র তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ এবং হলের ছাত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। বর্হিবিশ্বে অক্সফোর্ড পাশের দেশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধিভুক্ত কলেজ/হল/স্কুল রয়েছে এদের কাজ হলো হল/অনুষদ/ কলেজ/স্কুল উচ্চ শিক্ষা প্রদান করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বকীতি স্বরুপ সনদ প্রদান করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল/ কলেজ/অনুষদ/বিজনেস স্কুল/ইন্সটিটিউট রয়েছে এগুলা সবই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কারন সরকারি খরচ এ পড়াশুনা/ উচ্চশিক্ষা লাভ/গবেশনা/সনদ প্রদান সকল সুবিধা প্রদান করছে এজন্য সাত কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনি এই বিষয়টি আর ভালো জানতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস আদিপর্ব বইটি পরলে। এগুলা আমার কথা না লেখক শিশির ভট্টাচার্য এর কথা। তিনি তিন দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর শিক্ষকতা করেছেন এছাড়াও উপমহাদেশে 3 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছেন। আচ্ছা এসব বাদ থাক যখন ঢাবি আর সাত কলেজে মুখোমুখি আন্দোলন হয় স্নায়ুযুদ্ধ বলতে পারেন তখন লেখক শিশির ভট্টাচার্য একটা পত্রিকায় উক্ত বক্তব্য দিয়েছিল।
এছাড়াও প্রথম আলো পত্রিকা বলছে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব। ২৬/০৮/২০১৭ (প্রথম আলো থেকে) বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে পাঁচ ধরনের শাখা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো: বিভাগ, ইনস্টিটিউট, উপাদানকল্প (কনস্টিটিউয়েন্ট) কলেজ, অধিভুক্ত (অ্যাফিলিয়েটেড) কলেজ এবং কেন্দ্র (সেন্টার)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে উল্লিখিত পাঁচ ধরনের শাখা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলো তারাই, যারা এই পাঁচটি শাখা প্রতিষ্ঠানের কোনো না কোনোটির ছাত্র।
আমরা আগেই বলেছি,
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারাই, যারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো না কোনো শাখা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। যে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের পাঠ্যক্রম পাঠ্যসূচি তৈরি ও অনুমোদন করে, ছাত্রছাত্রী ভর্তির আসন নির্ধারণ করে, ছাত্রছাত্রীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে, সব পেশাগত পরীক্ষা পরিচালনা শিক্ষা কার্যক্রমের অভাব হলে কলেজের অনুমোদন বাতিল করে,করে, ফল প্রকাশ করে, সন্তোষজনক সমাবর্তনের মাধ্যমে ডিগ্রি প্রদান করে।
অধ্যাপক ড.সাখাওয়াত আনসারী
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.