ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ২০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে অরবিন্দ দত্ত নামে এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ইউপি সদস্য সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অরবিন্দ দত্ত সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে সেই ইউপি সদস্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছে। কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের মৃত কুতুবউদ্দিনের ছেলে আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে ইউপি সদস্যের ওপর এ হামলা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অরবিন্দ দত্ত বলেন, আমার দুবাই প্রবাসী ছোট ভাই রাকেশ দত্তের সঙ্গে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের দুবাই প্রবাসী জজ মিয়া নামে একব্যক্তির টাকা লেনদেনের একটি বিষয় ছিল বলে একবছর আগে কয়েকজন লোক আমাকে এসে জানান। আমি হিন্দু নিরীহ হিসেবে তারা সেই লেনদেনের বিষয়টি আমার ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করেন। সেসময়ে তাদের দলে আইয়ুব আলীও ছিলেন। জজ মিয়াকে আমি চিনি না; শুনেছি তিনি দীর্ঘদিন যাবত দুবাই থাকেন এবং আমার ভাই রাকেশ দত্তও সপরিবারে দীর্ঘ বছর যাবত দুবাই থাকেন। আমাদের সঙ্গে সে’র কোন যোগাযোগ নেই। এসব জানার পরও দুবাইয়ে ছোট ভাইয়ের লেনদেন আমার ঘাড়ে চাপিয়ে অন্যায়ভাবে টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তারা। এ অবস্থায় আমার পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সেইসময় তাদের রোষানল থেকে আমি রক্ষা পাই।
ইউপি সদস্য অরবিন্দ দত্ত বলেন, একবছর পর আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সেই বিষয় নিয়ে কালিকচ্ছ বাজারে আমার দোকানে আসেন আইয়ুব আলী। তিনি দাবি করেন, দুবাইয়ের সেই লেনদেন থেকে তিনি আমাকে রক্ষা করেছেন; বিনিময়ে তাকে এক্ষুনি ২০ হাজার টাকা দিতে হবে, নইলে কালিকচ্ছ বাজারে ব্যবসা করতে দেবেন না। অন্যায়ভাবে এ চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আইয়ুব আলী চড়াও হয়ে আমার ওপর হামলা করেন। আইয়ুব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী এবং এলাকার ডাকাত দলের সর্দার।
কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত আলী বলেন, একজন ইউপি সদস্যকে চাঁদা দাবি করে প্রকাশ্যে মারধর করবে; এমন হলে সমাজে মানুষ বসবাস করা দায় হয়ে পড়বে। অরবিন্দ দত্ত একজন হিন্দু নিরীহ মানুষ। তার ওপর এ ধরনের হামলা মেনে নেয়া যায়না। আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম চন্দ্র দে বলেন, ঘটনার খবরে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আইয়ুব আলীকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়; সে গাঢাকা দিয়েছে। আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.