• Uncategorized

    শেরপুরের নকলায় তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা !! 

      প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২০ , ৯:০৪:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো. সুজন মিয়া,নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:

    শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা।

    ২৯ নভেম্বর রবিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, নকলা হাসপাতালের সামনে কর্মবিরতির ব্যানার নিয়ে ও মনি পতাকা গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করছেন বলে জানান স্বাস্থ্যকর্মীরা।

    জানা গেছে, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩ তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১ তম গ্রেড প্রদানের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে ২৫ নভেম্বর বুধবার

    এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানের মাধ্যমে যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন তারা।

    কর্মবিরতিতে হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মী ও সদস্যবৃন্দ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।

    কর্মবিরতিতে অংশ গ্রহনকারীরা জানান, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দেন। অত:পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী তৎকালীন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের ন্যায্যদাবী সমূহ মেনেনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

    তাঁরা জানান, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারীতে আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জন করলে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় আমাদের দাবী সমূহ পুনরায় মেনেনিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্যি যে, ওই লিখিত সমঝোতা পত্রের সিদ্ধান্ত অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধী বাস্তবায়ন করা হয়নি।

    তাই আমরা আমাদের ন্যায্যদাবী আদায়ের লক্ষে সকল প্রকার ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ, এনএসআই, মহাপরিচালক ও দাতা সংস্থার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মেলন, ২৬ নভেম্বর থেকে ইপিআইসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা করা হয়।

    এ ঘোষনা অনুযায়ী কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরা বলেন, আমাদের চাকুরীর প্রারম্ভিক কাল হতে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত হয়ে চরম বৈষম্যের শিকার; অথচ টিকাদান কর্মসুচিতে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। শুধু টিকাদান নয় এর ধারবাহিকতা বজায় রেখে আমরা নিরলস কাজ করে আসছি।

    বক্তারা বলেন, আমাদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে অতিদ্রুত বেতন বৈষম্যদূর করতে হবে। এ দাবীতে ২৬ নভেম্বর থেকে সকল প্রকার কার্যক্রম বর্জন করা হয় বলে তাঁরা জানান। এর পরেও দাবী বাস্তবায়ন করা না হলে  সারাদেশ ব্যাপী কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে, যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে কারও কাম্য নয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ