• কৃষি

    শুনার কেউ নেউ হাজারও কৃষকের বুক ফাটা কান্না

      প্রতিনিধি ৯ মে ২০২২ , ৫:২৩:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    এস এম শামীম হাসান-মহাদেবপুর প্রতিনিধি:

    কে শুনবে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাজারো কৃষকের বুকফাটা কান্না। এবার বুরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখেছিল বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষীরা। ধান উঠার আগেই তাদের স্বপ্ন ছিল বুরো ধান বিক্রি করে ঋণের বোঝা কমাবে। হঠাৎ কালবৈশাখীর ছোবল আর বৃষ্টির কবলে নুরে পড়েছে বুরো ধান।স্বপ্নে গুরেবালি।এখন নুয়েপড়া ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে কৃষকরা দিশেহারা। এক বিঘা মাটির 20 মণ ধান কাটতে শ্রমিকের পেটে যাচ্ছে ১০ মন। মাড়াই করতে নিচ্ছে এক মন। থাকে নয় মন। খরচ তুলবে কেমনে সেই চিন্তায় কৃষকদের চোখে ঘুম নেই। হতাশায় কাটছে ঔইসব কৃষকদের দিন।

    আবার নুয়ে পড়া অনেক জমির ধান শ্রমিকের সংকটে দেখতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। সুযোগসন্ধানী ফরিয়া ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকেরা।অপরদিকে দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি। কেমনে চালাবে তাদের সংসার। এ ব্যাপারে শতাধিক কৃষক জানান। ৩৩ শতকের চাষের খরচ, সেচবাবদ ১৫০০ টাকা,জমি চাষ ৯০০ টাকা,ধান লাগানো ১২০০ টাকা,ইউরিয়া ৫০০ টাকা,ডিএপি ৬৫০ টাকা,এম ও পি ৪০০,জিবসাম ১০০,কুমুলাস ১৮০ টাকা।ধান কাটা ৯০০০ হাজার টাকা,৬০০টাকা দানা বিষ,৩০০টাকা টুপার নাটিভো৬১০ টাকা,ঘাস মারা বিষ ১০০ টাকা, তরল বিষ১০০,ধান মাড়াই ১০০০ টাকা, সব হিসাবের খরচ ১৪৪৩০ টাকা।

    ৩৩ শতক জমির ধান হচ্ছে ২০ মণ।৯০০ টাকা হিসেবে ২০ মণ ধানের দাম আসে ১৮০০০ হাজার টাকা আর যারা বর্গা চাষ করে তাদেরকে ৭ মণ ধান দিতে হয় যার দাম ৬৩০০ টাকা।হিসেবে মোট খরচ ২০৭৩০ টাকা এতে একজন কৃষকের লোকসান দাঁড়ায় ২৭৩০ টাকা।এই বাস্তব চিত্রের হিসাব তুলে ধরেছেন শতাধিক কৃষক। কৃষকরা জানান, কামলাদের অভাব নেই। ওরা একদিন কাজ করলেই সাড়ে ৮/৯শ টাকা পায়,অভাব শুধু মধ্যবিত্ত কৃষকদের ঘড়ে।এই বাংলার মধ্যবিত্ত কৃষকেরা ঋণ আর অভাবের যন্ত্রণায় কাতর। শুধুই তারা স্বপ্ন দেখে কবে তাদের অভাব নামক যন্ত্রণাটা সুখের সন্ধানে নিয়ে যাবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ