লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
শীতে ঘুম থেকে উঠতে সকলেরই কমবেশি কষ্ট হয়। ঠান্ডায় বিছানা ছেড়ে উঠে গোসল- খাওয়া শেষ করে কাজে যাওয়া বেশ কঠিন। তবে একবার উঠে পড়লে বিষয়টা সহজ হয়ে যায়। পরে বাসা থেকে বের হলে সূর্যের মিঠে রোদ গায়ে লাগে তখন আলসেমি কেটে যায়। কিন্তু অনেকের তা হয় না। সারাদিনই যেন ক্লান্ত লাগে। হাঁটাচলা করতেই শরীর শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা কোনও শারীরিক জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটলেও আলসেমি বেশি চেপে ধরা স্বাভাবিক। তাই শীতে খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন-
মাছ: কাঁকড়া, চিংড়ির মতো সামুদ্রিক খাবার ছাড়াও যে কোনও মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই মাছ রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়।
বীজ: খিদে পেলে মুখ চালানোর জন্য ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ দারুণ উপকারী। আবার শুধু মুখে খেতে ভালো না লাগলে কোনও সালাদ বা ডাল-তরকারিতেও দিয়ে দিতে পারেন।
চিকেন: লিন প্রোটিন বা চিকেনে ‘হেম আয়রন’ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা সাধারণ আয়রনের চেয়ে অনেক দ্রুত হজম করতে পারে আমাদের শরীর। শীতের মৌসুমে স্যুপ, স্ট্যু, রোস্ট চিকেন, চিকেন কবাব, চিলি চিকেন— নানা রকম পদ তৈরি করে খেতে পারেন।
সবুজ শাক-সবজি: শীতে সবজি খাওয়ার সেরা সময়। বাজারে এ সময়ে অনেক টাটকা সবজি পাওয়া যায়। পালং শাক, কলমির শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ সবজি খান। ভাপিয়ে নিয়ে সালাদে দিতে পারেন। আবার নানা রকম তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন। স্যান্ডউইচের পুড় হিসেবেই ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম সবজি।
ড্রাই ফ্রুট: শরীরে স্ফূর্তি আনতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। বিকেলের দিকে চায়ের সঙ্গে কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। আবার শীতকালে সকালে ঘুম ভাঙার পরই যদি একমুঠো খেয়ে নেন, তা হলেও আলসেমি অনেকটা কেটে গিয়ে শরীরে স্ফূর্তি ফিরে পাবেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.