• বিনোদন

    শিল্প সংস্কৃতির এক ভিন্ন জগতের নাম-অথৈ সাহা

      প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২২ , ৪:১৯:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    শিহাব আহম্মেদ-বিনোদন প্রতিনিধি:

    তার প্রকৃত নাম অথৈ সাহা জন্মস্থান নরসিংদী। নিজের জার্নি সম্পর্কে সে আলোকিত ৭১ সংবাদ কে বলে, “ছোট থেকেই পড়াশোনা, জলতরঙ্গ, আর্ট, আবৃত্তি, উপস্থাপনা, প্যারেড, ড্রামস আর ডিবেটেও সমান তালে ভালো ছিলাম স্কুলে গার্ল-গাইডের অংশ ছিলাম। এছাড়া ডিবেট টিম লিডার ছিলাম। স্কুলের প্যারেডে টানা ৩ বছর ড্রাম বাজিয়েছি, শেষ বছর হাউস লিডার হয়েছিলাম, আর আমার হাউস Winner ছিল। তাই স্কুলে ও আশেপাশের স্কুলেও  মুটামুটি পরিচিত, প্রিয় এবং জনপ্রিয় একজন ছাত্রী ছিলাম। জলতরঙ্গ নাচ/গানের শুরু ছোট বেলায়।

    অক্ষর শেখার সাথেই আমি সারগাম আর তাল শিখেছি। গানের শুরুটা মায়ের কাছ থেকে শুনে শুনে, তিনি এক সময় এর শিল্পি ছিলেন। নাচের শুরুটাও ঘরেই, আমার আগ্রহ দেখে পরিবার আমাকে জলতরঙ্গ, আর্ট, নাচ শেখানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার মা এর সহায়তায় নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেয়। তখন থেকেই তার গান শেখা শুরু হয়। তারপর ক্লাস 8র্থ এ উঠার পর বড় বোন তার নামে পেইজ খুলে দেয় পেইজের নাম Athai Saha। তো গান করার পাশাপাশি মনে হলো কাচেরর গ্লাস দিয়ে কিছু করি। তারপর থেকেই আমার জলতরঙ্গ বাজানো শুরু হলো। আর প্রথমেই আমি নয়া দামান গানের জলতরঙ্গ বাজাই। আর্ট আমি ছোটবেলা থেকেই ভালো করতাম। যদিও আর্ট এবং জলতরঙ্গ আমি কারও কাছ থেকে শিখি নি। এখন পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কেচও করি।

    এই আর্ট, গান আর জলতরঙ্গ নিয়েই অথৈ সাহা এগিয়ে যাচ্ছি, স্কুল পর্যায়ে প্রচুর সম্মাননা ও পুরষ্কার পায়। টানা কয়েক বছর বিভিন্ন স্থানে জেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে, বিখ্যাত শিল্পী থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পিকার, অনেক মান্যগণ্য ব্যাক্তিবর্গের সামনে বিভিন্ন সম্মানিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নাচ/গান পরিবেশেন করেছি। আমাদের দেশের বিভিন্ন সনামধন্য চ্যানেলেও পরিবেশনা করেছি এবং করছি। পড়াশুনার চাপে মাঝে সব অল্প সময়ে করতে হয়। আমার মনে হয়, আরও শেখার বাকি অনেক। তাই এরপর আমি ক্লাসিকাল এর গন্ডি পেরিয়ে হিপহপ, কনটেমপোরারি, মডার্ন, সালসা ইত্যাদি সব কিছু নিজে নিজে শেখা শুরু করি।

    এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আমার নতুন জীবনের শুরু সেলিব্রেট করা। কিন্তু আমি দেখি আমার সেলিব্রেশন অনেক মানুষকে হাসিয়েছে, পজিটিভ এনার্জি দিয়েছে। ব্যাপারটা আমাকে ভেতর থেকে নারা দেয়। যে আমিও মানুষের মাঝে পজিটিভ এনার্জি ছড়াতে পারি! সকলের এমন উৎসাহ পেয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত হই। পাশাপাশি সমালোচনা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আর শিখতে ভালোবাসি বলে এটাও আমার অনেক ভালো লাগে। সারাজীবনে অনেকেই অনেকবার আমায় অনলাইনে কাজ করতে উৎসাহ দিয়েছে, আর এত সব কিছুর পর আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমি চালিয়ে যাব। আর থামবো না। অনেকদিন প্রেক্টিসে না থাকায় সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে, কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। নতুন ভাবে শিখছি আবারো সব কিছু”।

    এভাবে ক্রমান্বয়ে ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু পরিবেশন করবে বলে জনপ্রিয় পত্রিকা আলোকিত ৭১ সংবাদ এর সিনিয়র সাংবাদিক শিহাব আহম্মেদ কে জানান অথৈ সাহা ” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অথৈ বলে “আমি চাই আমার মত করে যারা জীবনকে দেখে, মহাবিশ্ব ও এর সব ভালোবাসতে চেষ্টা করে, শিল্প-সংস্কৃতি, জ্ঞান এর মধ্যে দিয়ে পজেটিভিটি ছড়াতে চায়, তারা সকলে অথৈ সাহা এর অংশ হোক। অথৈ হোক একটা অন্যরকম জগত! পৃথিবী অনেক বিষাদময় এর মাঝে একটু কম্ফোর্ট এর জায়গা হতে ক্ষতি কী? অথৈ সাহা হোক সেই কম্ফোর্ট জোন। দেশসেরা জনপ্রিয় আলোচিক পত্রিকা আলোকিত ৭১ সংবাদ পরিবারের পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ জন্য অথৈ সাহা’র শিল্প ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্ব জুড়ে এই শুভ কামনা করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ