• চট্টগ্রাম বিভাগ

    শিক্ষাও জ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমেই উৎপাদনশীলতা বাড়ে

      প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ৪:০১:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম.আল-আমিন-লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:

    আজ ২৩ ডিসেম্বর২০২২, রোজ শুক্রবার বিকাল ২টায়, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর জেলা সম্মেলন-২০২৩ উপলক্ষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগ লক্ষ্মীপুর টাউন হল অডিটোরিয়ামে শাখার সভাপতি মুহাম্মদ মোফাচ্ছেল খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ভুঁইয়া এর সঞ্চালনায় “জেলা সম্মেলন২০২৩” অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম-মহাসচিব, ইন্জিনিয়ার আশরাফুল আলম। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, ইউছুফ আহমাদ মানসুর। ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও, আমাদের শুনতে হয় দেশের ৭৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন করে শিক্ষক আছেন। আর ১ হাজার ১২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিটিতে শিক্ষক আছেন মাত্র দু’জন। তিনজন শিক্ষক নিয়ে পরিচালিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা চার হাজারের বেশি।

    বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন সাহেব, জয়েন্ট সেক্রেটারি, মাওলানা আ হ ম নোমান সিরাজী। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,যেসব দেশকে আমরা উন্নত বলে জানি, সেসব দেশে প্রাইমারি শিক্ষা ও শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং তা অন্যান্য স্তরের শিক্ষকদেরও দেওয়া হয়। ‘যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়। ফ্রান্সে আদালতে কেবল শিক্ষকদের চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়। জাপানে সরকারের বিশেষ অনুমতি ছাড়া শিক্ষকদের গ্রেফতার করা যায় না। চীনে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পদ শিক্ষকতা আর কোরিয়ায় শিক্ষকরা মন্ত্রীদের সমান সুযোগ পান’।

    অথচ আমাদের দেশে শিক্ষকদের শহীদ মিনারে পুলিশ দ্বারা পিটিয়ে তক্তা বানানো হয়। পিপার স্প্রে করে চোখ অন্ধ করার চেষ্টা হয়। আরও কত কী! আর হ্যাঁ, প্রাইমারি শিক্ষার ব্যাপারে একটি কথা না বললেই নয়। তাহলো সারাদেশে ২১ হাজার ৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। প্রতিষ্ঠানেও তাই লেখাপড়া নেই। শিশু শিক্ষার কী করুণ পরিণতি! এই শিশুরাই প্রাইমারি শেষ করে আসে হাইস্কুলে। এখানেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই, ক্লাস রুম নেই, লাইব্রেরি নেই, থাকলে লাইব্রেরিয়ান নেই, মাঠ নেই, বিজ্ঞান-সংস্কৃতিচর্চা নেই। টয়লেট নোংরা বা নেই- ইত্যকার নানা সমস্যা, শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমেই উৎপাদনশীলতা বাড়ে এবং এর বাইরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আর কোনো রহস্য নাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ