আব্দুল হামিদ শেখ-লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি:

নড়াইল জেলার লোহাগড়ায় সৌদি প্রবাসী, স্ত্রীর খোঁজ খবর না নেওয়ায় স্ত্রী স্বামী কে ডিভোর্স অতঃপর অন্যত্র বিয়ে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ পাড়ায় আলমগীর হোসেন নামের একজন সৌদি প্রবাসী তার স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটান, এবং ৫/৬ বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে এসে লোহাগড়া উপজেলার চালিঘাট গ্ৰামের রুমানা নামের একটি মেয়ে কে বিবাহ করে,বিবাহের কয়েক বছর পর একটি পূত্র সন্তানের জন্ম হয়,ওই পূত্র সন্তানের নাম আনাস, বর্তমান বয়স (১০) বছর।

রুমানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার সামাজিক ভাবে আলমগীর নামের ওই সৌদি প্রবাসীর সাথে বিবাহ হয়, এবং প্রথম দিকে সংসার জীবন ভালই কেটেছিল।কিন্তু আমার ছেলে গর্ভে আসার পর থেকে আমার স্বামী আলমগীর হোসেন আদম ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। কিছু কিছু লোক বিদেশে নিয়েছে, এবং বেশিরভাগ লোক বিদেশে নিতে পারে নাই।তার পর থেকে আমার সংসারে অশান্তী তৈরি হয়। আলমগীর হোসেন,রুমানার নামে ৫/৬ টা এনজিও থেকে প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকার বেশি লোন করে রেখে যায়। এবং ৭ বছর স্ত্রী ও ছেলের কোন প্রকার খোঁজ খবর ও ভরন পোষন এবং এনজিও র লোনের টাকা দেন নাই।

রুমানা বেগম বলেন,আমি তো একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ, যে স্বামীর সাথে ৭ বছর দেখা সাক্ষাৎ নাই ,ভরন পোষন দেয় না, সে কেমন স্বামী ? তাই আমি গত ৫ মাস পূর্বে তাকে ডিভোর্স দিয়ে একটি বিবাহ করে জীবন যাপন কোরছি।আমি আলমগীর হোসেন এর একটি টাকার ও কোনো প্রকার মালা মাল,দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে আসি নাই।বরং আলমগীর হোসেন এর এনজিও র লোনের ১০ লক্ষ্য টাকা আমার বর্তমান স্বামীর কাছ থেকে নিয়ে শোধ করে আসছি, এখনও কিছু কিছু এনজিও র লোনের টাকা চলমান আছে।

রুমানা বেগম আরও বলেন, আমি আমার ছেলে আনাস কে নিয়ে বর্তমান স্বামীর কাছে ভালো ই আছি।ইতি মধ্যে বিদেশ থেকে আলমগীর হোসেন দেশে এসে,আমার সংসার ভাঙ্গার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমার ভালো থাকাটা আলমগীর হোসেনের সয্য হচ্ছে না।তার ই ধারাবাহিকতায়,আমার ও আমার স্বামীর নামে লোহাগড়া থানায় জিডি ও অভিযোগ করেছে, আমার ও আমার স্বামীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে,আমাকে ও আমার স্বামী কে হেয় প্রতিপন্ন করছে ।

আমি আজ ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখ লোহাগড়া থানায় হাজির হইয়া আলমগীর হোসেন এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। রুমানা বেগম বলেন,আমি পরিস্কার ভাবে বলছি,আমি পূর্বের স্বামী আলমগীর হোসেন কে ডিভোর্স দিয়ে শরিয়ত মোতাবেক অন্যত্র বিবাহ করেছি।এবং সংসার করছি। আমাকে ও আমার স্বামী কে যাহাতে আলমগীর হোসেন হয়রানি না করে, তার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।