• Uncategorized

    লৌহজংয়ে মুজিববর্ষে ১৪৩ গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

      প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২১ , ২:১৭:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’ এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে, আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের অধীনে চলমান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে আজ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ১৪৩টি গৃহহীন পরিবার জমিসহ আধা পাকা ঘর পেয়েছেন। এতে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। লৌহজং উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৯টি এলাকায় ১৪৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য আধা পাকা ঘর তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫০টি ঘর পুরোপুরি নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সমন্বয়ে এই কাজ চলছে। উপভোগকারীদেও দেওয়া আধাপাকা ঘওে দুটি কক্ষ ছাড়াও সেই ঘরের সামনে থাকছে বারান্দা, পেছনে রান্নাঘর, টয়লেট, গোসলখানা ও ছোট আরেকটি জায়গা। ঘরের ২ শতাংশ জমিও তাঁদের নামে লিখে (বন্দোবস্ত) দেওয়া হয়েছে।

    শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি গৃহ প্রদান উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে সরাসরি প্রচারিত ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) দীপক কুমার রায়, লৌহজং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গণি তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু. রাসেদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম, সরকারি লৌহজং বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

    গাওদিয়া ইউনিয়নের হাড়িদিয়া খাস জায়গায় জমিসহ ঘর পাওয়া সত্তরোর্ধ্ব ভানু বেগম বলেন, আমি ভিক্ষা করে খাই। ২০/২৫ বছর আগে নদীতে বাড়িঘর খাইছে। স্বামীও মারা গেছে। সন্তান থাকলেও তারা আমার খোঁজ-খবর নেয় না। সরকার আমাকে ঘর দিছে। এ জন্য খুব ভালো লাগছে, খুশি লাগছে। এখন আমি শান্তিতে মরতে পারমু। আল্লাহ শেখ হাসিনাকে হায়াত দান করুক।
    আরেক উপকারভোগী রোজিনা (৩০) বলেন, আমার স্বামী নেই। একটি ৮ বছরের ছেলে আছে। পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি। অন্যের জায়গায় ভাড়া করে ছাপড়া তুইলা থাকি। এখন এত সুন্দর জায়গা ও ঘর পাইয়া অনেক খুশি অইছি। নিজেরে অনেক ভাগ্যবান মনে অইতাছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ