পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় ছেলের অমানবিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে মা লালমতির আকুতি ‘আমি তোরে জন্ম দিছি বাবা, দুধ খাইয়েছি বড় করছি,অনেক কষ্ট সয়েছি আমারে মারিস না’- এমন আকুতির পরও ছেলের নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলেনি সত্তরোর্ধ গর্ভধারিনী মা লালমতি বেগমের,এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যায়।
ছেলে আনোয়ার খন্দকারের একের পর এক লাঠির বেধড়ক পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা লালমতি। পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বোন মরিয়ম বেগমকে।ঘটনাটি ঘটে অদ্য বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পটুয়াখালী বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মা-মেয়েকে চিকিৎসার জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাযায়।
স্থানীয় সূত্রে ও ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত রত্তন আলী খন্দকারের ছেলে আনোয়ার খন্দকার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অন্য ভাই-বোনকে না দিয়ে নিজের করে নিতে প্রায়ই আপন মাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করেন। তার দাবি, যারা বাড়িতে থাকেন না, তারা আর বাড়িতে আসতে পারবে না। কোনো জমি-জমার ভাগ কেউ পাবে না। তাদের বাড়িতে কোনো আশ্রয়ও দেয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার একই কারণে মা ও বোনের সাথে এ নিয়ে আনোয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়, পরে মারধর করেন আনোয়ার মা ও বোনকে।
আহত মরিয়ম বেগম বলেন, মারধরের এক পর্যায়ে মাকে দা দিয়ে কোপাতে যান আনোয়ার খন্দকার। আমাকে কুড়ালের আচারি (হাতল) দিয়ে মারধর করেন। মা আমাকে বাঁচাতে আসলে লাঠি দিয়ে মায়ের রানে ও পিঠে আঘাত করে এসময় মা মাটিতে ঢলে পড়েন।
এবিষয় মা লালমতি বেগম বলেন, ‘ওর বাবার রেখে যাওয়া সব সম্পত্তি একা নিতে চায়। অন্যদের দিতে রাজি না। এজন্য প্রায়ই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। আজকেও আমার মেয়েকে মারধর করেছে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে।’
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আনোয়ার খন্দকারের মুঠোফোনে একাধিবার কল করলেও রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আল-মামুন দৈনিক বরিশাল সমাচার'কে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে এবং দ্রুত এব্যপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.